অনলাইন শপ www.Gazivai.com ( গাজী ভাই ডট কম) এর পক্ষ থেকে আজকের আর্টিকেলটিতে আমাদের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো কোষ। কোষ কি,কোষ কাকে বলে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব.
আজকের আর্টিকেলটিতে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু গুলো হল: কোষ কাকে বলে, কোষ কাকে বলে কত প্রকার, কোষ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি, কোষ বিভাজন কাকে বলে, আদি কোষ কাকে বলে, কোষপ্রাচীর কাকে বলে, জনন কোষ কাকে বলে, উদ্ভিদ কোষ কাকে বলে ইত্যাদি।
আমাদের www.gazivai.com ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল পণ্য কেনাকাটা করুন। সবথেকে কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট করুন www.gazivai.com
কোষ কাকে বলে
অর্ধভেদ্য বা প্রভেদক ভেদ্য আবরণী দ্বারা বেষ্টিত, প্রোটোপ্লাজম দ্বারা নির্মিত, স্বপ্রজননশীল, জীবদেহের কার্যগত ,গঠনগত একক কে কোষ বলে ,কোষ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে সেল (Cell)। এটি লাতিন শব্দ সেলুনা থেকে এসেছে। যার অর্থ একটি ছোট কক্ষ। বিজ্ঞানী রবার্ট হুক প্রথম এ নামটি ব্যবহার করেন।বৈষম্যভেদ্য পর্দা দ্বারা আবৃত এবং জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক, যা অন্য সজীব মাধ্যম ছাড়াই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে সক্ষম তাকে কোষ বলে।

আরো পড়ুনঃ ২০ মিনিট সেক্স করার মেজিক কনডম কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
সব ধরনের জীব কোষ একরকম নয়। এদের মধ্যে যেমন গঠনগত পার্থক্য রয়েছে , তেমনি রয়েছে আকৃতি ও কাজের পার্থক্য। নিউক্লিয়াসের গঠন এর ভিত্তিতে কোষ দুই প্রকার। যথা:
আদি কোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ
প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ
কোষ কাকে বলে কত প্রকার
আদি কোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ
যে কোষে কোন সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে আদি কোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ বলে। এদেরকে আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ ও বলা হয়। যেমন- ব্যাকটেরিয়া ও সায়ানোব্যাকটেরিয়ার কোষ।

আরো পড়ুনঃ লিংগ মোটা বড় করার মারাল জেল কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন
এসব কোষের নিউক্লিয়াস কোন পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে না। এ কারণে নিউক্লিয় বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে। এছাড়াও এসব কোষে মাইট্রোকন্ডিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক ,রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গানু থাকে না কিন্তু রাইবোজোম থাকে। ক্রোমোজোমের শুধুমাত্র ডিএনএ থাকে। নীলাভ সবুজ শৈবাল বা ব্যাকটেরিয়া এ ধরনের কোষ পাওয়া যায়।
প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ
যে কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার দিল্লি দিয়ে নিউক্লিয় বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুগঠিত তাকে প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ বলে। যেমন – সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষ।
কোষ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
কাজের ভিত্তিতে প্রকৃত কোষ দুই ধরনের। যথা:
- দেহ কোষ
- জনন কোষ
দেহ কোষ
যেসব কোষ কোন জীবের দেহ গঠন করে তাদেরকে দেহ কোষ বলে। বহুকোষী জীবের দেহ গঠনে এসব কোষ অংশগ্রহণ করে।মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজন এর মাধ্যমে দেহ কোষ বিভাজিত হয় এবং এভাবে দেহের বৃদ্ধি ঘটে।বিভিন্ন তন্ত্র ও অঙ্গ পতঙ্গ গঠনে দেহ কোষ অংশ নেয়।
আরো পড়ুন মেয়েদের নেট বা জর্জেট ব্রা কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
আরো পড়ুন মেয়েদের ৩ পিস জাইংগা কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের সাইজের স্পোর্টস ব্রা কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ফোম কাপ ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের সুতি স্পোর্টস ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন
আরো পড়ুন মেয়েদের সেক্সি বিকিনি ব্রা কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের নাইট ড্রেস সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ ৩ পাট কুচি বোরকা সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ ২ পাট কুচি বোরকা সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
আরো পড়ুনঃ খিমার বুরকা সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
জনন কোষ
যেসব কোষ জীবের প্রজননে অংশগ্রহণ করে তাদেরকে ,জনন কোষ বলে। যৌন প্রজনন ও জনঃক্রম দেখা যায় এমন জীবে জনন কোষ উৎপন্ন হয়। মিয়োসিস পদ্ধতিতে জনন মাতৃকোষ এর বিভাজন ঘটে এবং জনন কোষ উৎপন্ন হয়।
জনন কোষ আবার দুই প্রকার যথা:
- পুং জনন কোষ বা পুং গ্যামেট বা শুক্রাণু
- স্ত্রী জনন কোষ বা স্ত্রী গ্যামেট বা ডিম্বাণু
কোষ বিভাজন কাকে বলে
ক্রোমোসোমের ভিত্তিতে কোষ দুই প্রকার ।
হ্যাপ্লয়েড কোষ
ডিপ্লয়েড কোষ
হ্যাপ্লয়েড কোষ
আরও পড়ুন: সানি লিওনের এক্সপ্রেস ভিডিও
আরও পড়ুন: চেহারা সুন্দর করার দোয়া
আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া টু বাংলাদেশ বিমান ভাড়া কত
যে কোষের নিউক্লিয়াসে এক সেট ক্রোমোসোম থাকে তাকে হ্যাপ্লয়েড কোষ বলে। যেমন-পুং জনন কোষ বা শুক্রাণু।পুরুষের শুক্রানুতে এক সেট অর্থাৎ ২৩ টি ক্রোমোসোম থাকে
আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ
আরও পড়ুন: মাথা ব্যথার ১০ টি ঔষধের নামের তালিকা
আরও পড়ুন: বড় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ? বড় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস
আরও পড়ুন: লিংগ মোটা করার উপায়
ডিপ্লয়েড কোষ
যে কোষের নিউক্লিয়াসে 2 সেট ক্রোমোসোম থাকে তাকে ডিপ্লয়েড কোষ বলে। যেমন – জাইগোট, আমাদের সকল দেহ কোষ। আমাদের জায়গাটার এবং প্রতিটি দেহকোষে ২ সেট অর্থাৎ ৪৬ টি ক্রোমোসোম থাকে।
কোষ হলো সকল জীবদেহের গঠন, বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ও বংশগতিমূলক তথ্য বহনকারী একক। এটি জীবের ক্ষুদ্রতম জীবিত একক, অর্থাৎ একটি কোষকে পৃথকভাবে জীবিত বলা যেতে পারে। এজন্যই একে জীবের নির্মাণ একক নামে আখ্যায়িত করা হয়। ব্যাক্টেরিয়া এবং এ ধরনের কিছু জীব এককোষী। কিন্তু মানুষসহ পৃথিবীর অধিকাংশ জীবই বহুকোষী।
আদি কোষ কাকে বলে
মানবদেহে প্রায় ৩৭ লক্ষ কোটি কোষ রয়েছে একটি কোষের আদর্শ আকার হচ্ছে ১০ মাইক্রোমিটার এবং ভর হচ্ছে ১ ন্যানোগ্রাম। জানামতে বৃহত্তম কোষ হচ্ছে উটপাখির ডিম। চূড়ান্ত কোষ তত্ত্ব আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে ১৮৩৭ সালে চেক বিজ্ঞানী Jan Evangelista Purkyne অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে উদ্ভিদ কোষ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে ছোটো ছোটো দানা লক্ষ্য করেন।
১৮৩৯ সালে বিজ্ঞানী Matthias Jakob Schleiden এবং Theodor Schwann কোষ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এবং তাদের তত্ত্বে বলা হয়, সকল জীবিত বস্তুই এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত এবং সব কোষই পূর্বে অস্তিত্বশীল অন্য কোনো কোষ থেকে উৎপত্তি লাভ করে। জীবের মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ সব ক্রিয়াই কোষের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়। সকল কোষের মধ্যে কার্যক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বংশগতীয় তথ্য এবং পরবর্তী বংশধরে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
কোষ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ সেল (cell)। সেল শব্দটি লাতিন শব্দ সেলুলা থেকে এসেছে যার অর্থ একটি ছোট্ট কক্ষ বা কুঠুরি। এই নামটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী রবার্ট হুক। ১৬৬৫ সালে তার প্রকাশিত একটি গ্রন্থে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পর্যবেক্ষণকৃত কর্ক কোষের কথা উল্লেখ করেন। এই কোষের সাথে তিনি ধর্মীয় সাধু-সন্ন্যাসীদের ঘরের তুলনা করেছিলেন। এ থেকেই জীবের ক্ষুদ্রতম গাঠনিক ও কার্যকরী এককের নাম দিয়ে দেন সেল।
কোষপ্রাচীর কাকে বলে
ব্যাকটেরিয়া ও উদ্ভিদকোশের কোশপর্দার বাইরে সেলুলােজ নির্মিত যে পুরু, দৃঢ়, ভেদ্য, স্থিতিস্থাপক জড় আবরণ বর্তমান তাকে কোষ প্রাচীর বলে।বিভিন্ন কোষের নানান প্রকার বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও সব কোষে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে।
এই ভাবে কোষের গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে কোষ সম্বধে যে মতবাদ বা তত্ব তৈরী হয় তাকে কোষ তত্ত্ব বলে। কোষ সম্পর্কে জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী শ্নাইডেন, প্রাণীবিজ্ঞানী থিওডোর শভান এবং পরে রুডলফ ভির্শভ (Rudolf. Virchow) ১৮৮৫ সালে কোষ তত্ত্ব প্রদান করেন, যাতে বলা হয়েছে,
কোষ হলো জীবন্ত সত্তার গাঠনিক, শারীরিক ও সাংগাঠনিক একক।
কোষ হলো জীবনের মৌলিক একক।
কোষ বংশগতির একক।
সকল জীব এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত এবং পূর্বসৃষ্ট কোষ থেকেই নতুন কোষের সৃষ্টি হয় ।
সকল কোষেই কিছু সাধারণ উপাদান বা অংশ থাকে, যেমন – কোষকেন্দ্র (নিউক্লিয়াস), কোষপঙ্ক (সাইটোপ্লাজম) এবং কোষঝিল্লি বা কোষপ্রাচীর। কিছু কিছু ব্যতিক্রমী কোষের ক্ষেত্রে কোনও কোনও অংশ অনুপস্থিত থাকতে পারে। যেমন লোহিত রক্তকণিকা কোষে কোষকেন্দ্র থাকে না। কিন্তু আদর্শ কোষ বলে আসলে কিছু নেই। মানুষের দেহ কয়েক শত ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত।
যেমন স্নায়ু কোষ, রক্তকণিকা কোষ, ত্বকের কোষ বা যকৃৎ কোষ। আদর্শ কোষ বলতে এমন একটি প্রতীকী ও কাল্পনিক কোষকে বোঝায় যাতে অধিকাংশ কোষে প্রাপ্ত সমস্ত উপাদানগুলি বিদ্যমান থাকে। যেমন একটি তথাকথিত আদর্শ প্রাণীকোষে চারটি উপাদান থাকে: কোষকেন্দ্র, কোষঝিল্লি বা কোষপর্দা, মাইটোকন্ড্রিয়া এবং কোষপঙ্ক (সাইটোপ্লাজম)।
অন্যদিকে একটি আদর্শ উদ্ভিদকোষের উপাদানগুলি হল কোষকেন্দ্র, কোষপ্রাচীর, কোষঝিল্লি বা কোষপর্দা, কোষগহ্বর, কোষপঙ্ক, মাইটোকন্ড্রিয়া ও হরিৎ কণিকা (ক্লোরোপ্লাস্ট)।
জনন কোষ কাকে বলে
যেসব কোষ জীবের প্রজননে অংশগ্রহণ করে তাদেরকে ,জনন কোষ বলে। যৌন প্রজনন ও জনঃক্রম দেখা যায় এমন জীবে জনন কোষ উৎপন্ন হয়। মিয়োসিস পদ্ধতিতে জনন মাতৃকোষ এর বিভাজন ঘটে এবং জনন কোষ উৎপন্ন হয়।
কোষ যে সজীব, প্রাণবাহী মাতৃপদার্থ নিয়ে গঠিত, তাকে প্রাণপঙ্ক (প্রোটোপ্লাজম) বলে। এটি খানিকটা পিচ্ছিল থকথকে পদার্থের মত, অর্থাৎ কঠিন ও তরলের মাঝামাঝি কিছু। প্রাণপঙ্ককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—কোষকেন্দ্র এবং কোষপঙ্ক।
কোষপর্দার ভেতরে কিন্তু কোষকেন্দ্রের বাইরে অবস্থিত প্রাণপঙ্ক অংশটিকে কোষপঙ্ক (সাইটোপ্লাজম) বলে। কোষপঙ্কের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের জটিল অতিক্ষুদ্র সব কাঠামো আছে, যেগুলি সাধারণ আলোকীয় আণুবীক্ষণিক যন্ত্রে ধরা পড়ে না, কিন্তু বৈদ্যুতিক আণুবীক্ষণিক যন্ত্রে এগুলির খুঁটিনাটি বিশদ আকারে দেখতে পাওয়া যায়। এই অতিক্ষুদ্র কাঠামোগুলিকে কোষীয় অঙ্গাণু বলে।
কোষের সবচেয়ে বড় অঙ্গাণুটিকে কোষকেন্দ্র বলে। স্বল্পসংখ্যক কিছু ব্যতিক্রমী কোষ বাদে সমস্ত কোষে কোষকেন্দ্র থাকে। যেসব কোষে কোষকেন্দ্র থাকে না, সেগুলি সাধারণত মৃত হয়, যেমন উদ্ভিদের জাইলেম কলার কোষসমূহ। অথবা এগুলি বেশিদিন বাঁচে না, যেমন লোহিত রক্তকণিকা। কোষকেন্দ্র কোষের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে।
উদ্ভিদ কোষ কাকে বলে
কোষকেন্দ্রের ভেতরে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড) নামক রাসায়নিক পদার্থের অণু নিয়ে গঠিত সুতার মত দেখতে কিছু উপাদান থাকে, যাদেরকে বর্ণসূত্র বা বংশসূত্র (ক্রোমোজোম]]) বলে। মানুষের কোষের কোষকেন্দ্রে এরকম ২৩ জোড়া অর্থাৎ ৪৬টি বংশসূত্র থাকে। প্রতিটি বংশসূত্রে একটি করে ডিএনএ অণুর দীর্ঘ শৃঙ্খল থাকে, যে শৃঙ্খলটি স্থান সঙ্কুলান করার জন্য ভাঁজ হয়ে ও হিস্টোন নামের কিছু প্রোটিনকে ঘিরে সর্পিলাকারে পেঁচিয়ে বিন্যস্ত হয়ে থাকে।
ডিএনএ অণুর একেকটি অংশ একেকটি বংশগতীয় বৈশিষ্ট্য বহন করে, যে অংশগুলিকে বংশাণু (জিন) বলে। বংশাণুগুলি কোষের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ কোন্ ধরনের দেহসার বা প্রোটিন তৈরি বা সংশ্লেষণ করবে, তা নির্ধারণ করে। বংশাণুবাহী ডিএনএগুলি কোষকেন্দ্রে অবস্থান করে, কিন্তু প্রোটিন উৎপাদন করার নির্দেশগুলি কোষকেন্দ্রের বাইরে কোষপঙ্কতে পরিবাহিত হয় এবং রাইবোজোম নামক নামের ক্ষুদ্র কিছু কাঠামোতে প্রোটিন উৎপাদিত বা সংশ্লেষিত হয়।
কোষের ভেতরে প্রাপ্ত প্রোটিনগুলির মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ধরনের প্রোটিন হল উৎসেচক (এনজাইম)। কোষপঙ্কতে যে রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলি ঘটে, উৎসেচকগুলি সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
সব কোষের পৃষ্ঠতল একটি অত্যন্ত পাতলা পর্দার ন্যায় কোষঝিল্লি বা কোষপর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। এটি বহিঃস্থ পরিবেশ থেকে কোষের কোষপঙ্ককে পৃথক করে রাখে। তবে কোষঝিল্লি সম্পূর্ণ অভেদ্য একটি প্রতিবন্ধক নয়, বরং আংশিকভাবে ভেদ্য।
কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ কোষঝিল্লির ভেতর দিয়ে কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে, আবার কতগুলি রাসায়নিক পদার্থ কোষ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। কোষঝিল্লি এই প্রবেশ ও বহির্গমন প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বলা হয় কোষপর্দা শুধু আংশিকভাবে ভেদ্যই নয়, বরং নৈর্বাচনিকভাবে বা বিভেদকভাবে ভেদ্য।
কোষের ভেতরে অন্যান্য আরও ঝিল্লি জাতীয় পদার্থ আছে। কোষপঙ্কর প্রায় সর্বত্র জুড়ে কিছু ঝিল্লির ন্যায় জালিকা উপস্থিত থাকে, যাদেরকে অন্তঃকোষীয় জালক (এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম) বলে। কিছু কিছু অন্তঃকোষীয় জালক খুবই ক্ষুদ্র কিছু দানাদার উপাদান দিয়ে আবৃত থাকে, যাদেরকে রাইবোজোম বলে। রাইবোজোম নামের অঙ্গাণুগুলিতেই প্রোটিনগুলি সংযোজিত বা সংশ্লেষিত হয়। কোষের ভেতরে এরকম হাজার হাজার রাইবোজোম থাকে।
আমাদের আর্টিকেল বিষয়ে কোনো রকম অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে তা নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা আপনার কথা সাদরে গ্রহণ করব।