জানবো বিডি ডট নেট এর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি,

• ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি

• ঘুমের ঔষধের নাম ও দাম

• ঘুমের ঔষধের নাম ও কাজ

• ঘুমের ঔষধের নাম ও কার্যকারিতা

• ঘুমের ঔষধের নামের তালিকা

ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানব।

আমাদের www.gazivai.comওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করুন। সবথেকে কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট করুনwww.gazivai.com

ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি

• বর্তমান যুগে অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভুগে থাকেন ।বিজ্ঞানের মতে সাধারণত একজন মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কিন্তু অনেকেরই বিভিন্ন কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় ,তখন তারা সে অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই ঘুমের ওষুধ খায়।

• কিন্তু ঘুমের ওষুধের রয়েছে অনেক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। অনেকেই অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে, এক্ষেত্রে বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• আপনার যদি ঘুম কম হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এটি আপনার শরীরের শক্তি হ্রাস করতে পারে ।উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সমস্যা ভেদে ঘুমের ওষুধও বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।

• ধরুন একজনের কোথাও খুব ব্যথা সে ক্ষেত্রে তার এক প্রকারের ঘুমের ওষুধ প্রয়োজন। আবার আরেকজনের দুশ্চিন্তার কারণে তা ঠিকমতো ঘুম হয় না সে ক্ষেত্রে আবার তার জন্য অন্য প্রকারের ঘুমের ওষুধ খেতে হবে। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্যই মানুষ ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকে। তবে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা

বর্তমান যুগে অনেক মানুষ আছেন যারা রাতের পর রাত জেগে শুয়ে থাকে ঘুমানোর চেষ্টা করার পরেও তাদের ঘুম আসে না ।আবার ঘুমানোর পরে অনেকে মধ্যরাতে জেগে যায়, চেষ্টা করেও আর পরে ঘুমাতে পারে না।

আরও পড়ুন:  রিয়েলমি 7i বাংলাদেশ প্রাইস,Realme 7i Price in Bangladesh

আরও পড়ুন: চেহারা সুন্দর করার দোয়া

আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া টু বাংলাদেশ বিমান ভাড়া কত

আরও পড়ুন: কাশির ঔষধ ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ.

আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ

অনেকে এটাকে নরমাল ব্যাপার মনে করে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু সারাদিনের কাজ কর্ম শেষে শরীর ব্রেনের বিশ্রাম দরকার। আর বিশ্রাম দিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুমের সমস্যা নিয়ে চলতে থাকলে আপনার উচ্চরক্তচাপ ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মিত ঘুম না হলে তাকে বলা হয় ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা।

ইনসোমনিয়ার কারণ

আরো পড়ুনঃ পড়ার টেবিল কোড  ১ কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে ইনসম্নিয়া হয়ে থাকে। ফোনে কথা বলা ,ইন্টারনেট ব্রাউজিং, পড়াশোনা ইত্যাদি কারণে অনেকের ঘুমাতে দেরি হয় এবং পরে সঠিক সময়ে ঘুম আসে না ।এছাড়া অবসাদ, টেনশন, দুঃখ, হতাশা ইত্যাদি আপনার ঘুমের ব্যত্যয় ঘটাতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বীর্য ঘন ও গাঢ় করার সেলেনিয়াম ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ২০ মিনিট করার ভিগা স্প্রে কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ লিংগ পিচ্ছিল করার KY লুব্রিকেন্ট জেল ক্রয় করার জন্য – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ বায়োমেনিক্স কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেজিক কনডম সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন কনডম সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের মেল এক্সট্রা  ট্যাবলেট কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান কস্তুরি গোল্ড কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ জিনসিন পাউডার সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান সান্ডার তেল কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

অতিরিক্ত চা-কফি, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় নিয়মিত পান করলে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ এবং কিছু কিছু রোগের কারণে ইনসোমনিয়া হয়। অনেক কর্মজীবী আছেন যাদের কাজের সময় একদিন দিনে আরেকদিন রাত্রে এরকম হলে তাদের ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রার ফল

• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
• রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া
  হৃদরোগ
• স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
• মাথা ব্যথা
• কোমর ব্যথা
• ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়
• ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
• দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পায়
• মেজাজ খিটখিটে থাকে
• কাজের ওপর থেকে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে
• ইনসমনিয়ার লক্ষণ
• ঘুম দেরিতে আসা
• পাতলা ঘুম হওয়া এমনকি বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া
• অনেক ক্ষেত্রে দুই-তিন রাত ঘুমাতে না পারা
• পড়াশোনা ও অন্য কাজে মনোযোগের অভাব
• মেজাজ খিটখিটে থাকা
• মাঝেমধ্যেই মাথা ব্যথা হওয়া
• অল্প কারণেই রেগে যাওয়া
• সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্তিবোধ করা

এছাড়া আরও অনেক ছোট বড় সমস্যা দেখা যেতে পারে

ঘুমের ঔষধের নাম ও দাম

ঘুমের ওষুধের কিছু শ্রেণি বা জেনেরিক নাম রয়েছে। এই জেনেরিক নাম গুলো জানলে আপনি খুব সহজেই যে কোন কোম্পানির ভালো ঘুমের ওষুধ খুঁজে পেতে পারেন। নিচে ঘুমের ওষুধের কিছু জেনেরিক নাম তুলে ধরা হলো:

• ডায়াজিপাম (Diazepam)
• ক্লোনাজিপাম (Clonazepam)
• অ্যালপ্রাজোলাম (Alprazolam)
• অ্যামিট্রিপটিলিন (Amitriptyline)
• ব্রোমাজেপাম (Bromazepam)
• বুসপিরন (Buspirone)
• ক্লোরডায়াযেপক্সাইড (Chlordiazepoxide)
• ক্লোরপ্রোমাজিন (Chlorpromazine)
• ক্লোবাজাম (Clobazam)

ডায়াজিপাম (Diazepam) গ্রুপের ওষুধ

ডায়াজিপাম হালকা থেকে মাঝারি উত্তেজনাময় আক্রমণ ও তার দুশ্চিন্তা হতাশা ইত্যাদি স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া কম হয়ে থাকে ,যেমন অ্যালকোহল বা অস্ত্রোপচারের আগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ডায়াজিপাম রোগের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। বর্তমান এই গ্রুপের ওষুধ গুলো ঘুমের ঔষধ হিসেবে বেশ সাড়া ফেলেছে এই গ্রুপের বিভিন্ন ঔষধ গুলো নিচে দেওয়া হল:

ব্রোমাজেপাম (Bromazepam) গ্রুপের ওষুধ

ব্রোমাজিপাম এর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে ।তার মধ্যে অন্যতম পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া গুলো হলো ঘুম ঘুম ভাব, ভারসাম্য লোপ পাওয়া এবং এটাক্সিয়া। একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

ক্লোনাজিপাম (Clonazepam) 

ক্লোনাজিপাম খিঁচুনি প্রতিরোধ এর পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় ।এই ওষুধটি এন্টিসেপটিক হিসেবে উল্লেখ করা হয় , অ্যান্টিক অন্ড লান্ড হিসাবে পরিচিত। এটি স্নায়ু এবং মস্তিস্ককে শান্ত করতে কাজ করে থাকে। মদ্যপান ও অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করা যাবে না।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি

ঘুমের ঔষধের নাম ও কাজ

Square Pharma কোম্পানির Sedil একটি খুবই ভালো ঘুমের ওষুধ যা বহুল প্রচলিত। এটি 5 mg ট্যাবলেট এবং 10 mg/2 ml ইনজেকশনে পাওয়া যায়

রিভোট্রিল ( Rivotril Tablet)

2 mg ট্যাবলেট, 0.5 mg ট্যাবলেট

ডোরম্যাক্স (Dormax Tablet)

7.5 mg  ট্যাবলেট , 15 mg/3 ml ইনজেকশন

Dormax ট্যাবলেট বাজারজাত করে থাকে Aristopharma Ltd . আপনি নিকটস্থ যেকোন ফার্মেসিতে ঔষধটি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।প্রতিটি ঔষধের মূল্য 10 টাকা করে প্রতিটি 30 পিছে প্রতি বক্স থাকে প্রতি বক্সের মূল্য হচ্ছে 300 টাকা করে।

সিডিল (Sedil)

5 mg ট্যাবলেট, 10 mg/2 ml ইনজেকশন

Sedil ঘুমের ঔষুধ হিসেবে বেশী বিক্রি হয়ে থাকে। এটি মূলত মাদক থেকে মুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়

এছাড়া আরও কিছু ওষুধ হল –

• Aristopharma কোম্পানির Arotril
• Beximco কোম্পানির Xetril
• Roche কোম্পানির Rivotril
• Orion কোম্পানির Rivo
• Opsonin কোম্পানির Pase
• Acme কোম্পানির Leptic
• Epitra কোম্পানির Square
• General কোম্পানির Epiclon
• Incepta কোম্পানির Disopan
• Reneta কোম্পানির Denixil
• SKF কোম্পানির Cloron
• ACI কোম্পানির Clonium
• Healthcare কোম্পানির Clonatril
• Popular কোম্পানির Clonapin
• Pharmasia কোম্পানিরClonzy
• Biopharma কোম্পানির  Cloma
• disopan 2

ঘুমের ঔষধের নাম ও কার্যকারিতা

হোমিওপ্যাথিক ঘুমের ওষুধের নাম

• Nux vomica – রাতে বিছানায় যাওয়ার পরে সারাদিনের কাজ-কর্মের চিন্তা মাথার ভিতরে কিলবিল করতে থাকে ; ফলে ঘুম আসতে চায় না। বিশেষত যারা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে, বেশী বেশী চা-কফি পান করেন, যাদের পেটের অসুখ বেশী হয়, নাক্স তাদের অনিদ্রায় ভালো কাজ করে থাকে।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি
• Opium – ঘুমঘুম ভাব কিন্তু ঘুম আসে না। খুবই সেনসিটিভ, ঘড়ির কাটার শব্দ কিংবা দূরের কোন মোরগের ডাকেও তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। দুঃস্বপ্ন দেখে, কুকুর, বিড়াল, প্রেতাত্মা, বোবায়ধরা স্বপ্নে দেখে, ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে অপিয়াম ঔষধটি খেতে হবে।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি
• Kali phosphoricum – Kali phosphoricum অনিদ্রার একটি সেরা ঔষধ। বিভিন্ন কঠিন রোগ ভোগ, অত্যধিক শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম, অপুষ্টি, দীর্ঘদিন যাবত স্তন্যদান করা ইত্যাদির মাধ্যমে সৃষ্ট নিদ্রাহীনতায় (বা অন্যকোন রোগে) ক্যালি ফস খেতে হয়। মাঝে মাঝে সপ্তাহ খানেক বিরতি দিয়ে দীর্ঘদিন খান। হৃদপিন্ড, স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের উপর ইহার প্রশান্তিকারক ক্রিয়া বিদ্যমান। তাছাড়া যেহেতু এটি একটি ভিটামিন জাতীয় ঔষধ, তাই ইহার কোন ক্ষতিকর সাইড-ইফেক্ট নাই বললেই চলে।
• Coffea cruda – মানসিক উত্তেজনা, উৎকন্ঠা, দুঃশ্চিন্তা থেকে অনিদ্রা দেখা দিলে তাতে কফিয়া প্রযোজ্য। সুসংবাদ শুনে, আনন্দের আতিষয্যে, শিশুদের দাঁত ওঠার বয়সে বা রাত জাগার কারণে অনিদ্রা হলে তাতে কফিয়ার কথা ভাবতে হবে। মহিলাদের সন্তান প্রসব পরবতী সময়ের অনিদ্রায় কফিয়া ভালো কাজ করে। খুবই সেনসেটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে কফিয়া প্রযোজ্য যারা আওয়াজ সহ্য করতে পারে না, গন্ধ সহ্য করতে পারে না, স্পর্শ সহ্য করতে পারে না ইত্যাদি ইত্যাদি।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি
• Ambra Grisea – সাধারণত চাকুরি বা ব্যবসা সংক্রান্ত দুঃশ্চিন্তার কারণে নিদ্রাহীনতা হলে তাতে এমব্রাগ্রিসিয়া প্রযোজ্য। সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে কিন্তু যখনই বালিশে মাথা রাখে, সাথে সাথেই ঘুম চলে যায়। এই ঔষধের একটি অদ্ভূত লক্ষণ হলো এরা অপরিচিত কেউ সামনে বা আশেপাশে থাকলে, পায়খানা করতে পারে না।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি
• Hyoscyamus niger – মাত্রাতিরিক্ত মাথা খাটুনির কাজ (brainwork) করার কারণে অনিদ্রা দেখা দিলে তাতে হায়োসাইয়েমাস খেয়ে উপকার পাবেন। মাথার মধ্যে জোয়ারের পানির মতো ফালতু চিন্তার স্রোত বইতে থাকে। যদি শিশুরা ঘুমের মধ্যে চীৎকার করে ওঠে, কাঁপতে থাকে ; তবে তাতে হায়োসায়েমাস প্রযোজ্য।
• Sulphur – সকাল দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীর গরম লাগা, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি লক্ষণ পাওয়া গেলে নিদ্রাহীনতা রোগেও সালফার প্রয়োগ করে দারুণ ফল পাবেন।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি
• Belladonna – যদি মুখমন্ডল বা মাথা গরম বা লাল হয়ে থাকে, মাথা ব্যথার থাকে, শরীরে জ্বালা-পোড়াভাব থাকে ইত্যাদি কারণে নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়, তবে তাতে বেলেডোনা প্রযোজ্য।
• Chamomilla – শরীরের কোথাও মারাত্মক ব্যথার কারণে ঘুমাতে না পারলে, সেক্ষেত্রে ক্যামোমিলা প্রয়োগ করতে হবে। যারা অর্থহীন আজেবাজে স্বপ্নের কারণে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না, ঘুমের ভেতরে ছটফট করতে থাকে, দুবর্ল-নার্ভাস মহিলা, শরীর গরম, প্রচুর পিপাসা ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যামোমিলা উপকার দিবে।
• Arsenic album – মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতা, এক মূহূর্তও এক পজিশনে স্থির থাকতে পারে না, লক্ষণ থাকলে তাতে আর্সেনিক খেতে হবে। রাতে একবার ঘুম ভাঙলে আর ঘুম আসে না।
• Gelsemium – সাধারণত যারা অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম করেন অথবা বিষন্নতায় ভোগেন, তাদের অনিদ্রা দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
• Ignatia amara – সাধারণত শোক-দুঃখ-বিরহ-বিচ্ছেদ ইত্যাদি কারণে ঘুম না আসলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রযোজ্য। এদের ঘুম এত পাতলা হয় যে, তারা ঘুমের মধ্যে চারপাশের সবকিছুই শুনতে পায়।
• Magnesium carbonica – সাধারণত পেটের কোন অস্বস্তি, ভীষণ শীতকাতর-জামাকাপড় খুলতে চান না, পেটে গ্যাসের উৎপাত, আক্কেল দাঁত ওঠা, সারারাত ঘুমিয়েও ফ্রেস লাগে না বরং ঘুম থেকে ওঠার পরে খুবই টায়ার্ড লাগে-মনে হয় সারারাত কুস্তি খেলেছেন, আগুন-ডাকাত-ঝগড়া-মরা মানুষ ইত্যাদি স্বপ্ন দেখে ইত্যাদি লক্ষণে ম্যাগ কার্ব খেতে পারেন।
• Cocculus indicus – সাধারণত ভীতু, নার্ভাস, অত্যধিক পড়াশোনা করে এমন লোকদের ক্ষেত্রে কুকুলাস প্রয়োগ করতে হয়। রাত জেগে কাজ করার কারণে যদি অনিদ্রা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ককুলাস খাবেন।
• Cannabis indica – ক্যানাবিস ইন্ডিকা সাধারণত দীর্ঘদিনের পুরনো এবং দুরারোগ্য অনিদ্রা রোগে প্রযোজ্য। যাদের একেক দিন একেক টাইমে ঘুম আসে, দিনে ঘুম আসে প্রচুর, রাতের ঘুমে কোন আরাম পাওয়া যায় না, রাতে গরম লাগে যেন কেউ তার গায়ে গরম পানি ঢালতেছে ইত্যাদি লক্ষণে ক্যানাবিস খেতে পারেন। যেহেতু এই ঔষধটি গাঁজা থেকে তৈরী করা হয়, তাই বলা যায় গাঁজার নেশা করার কারণে যদি কারো অনিদ্রা দেখা দেয়, তারা এটি খেয়ে উপকৃত হবেন।

এছাড়াও হোমিওপ্যাথিতে অনিদ্রা বা নিদ্রাহীনতার আরো অনেক ঔষধ আছে যা একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব

ঘুমের ঔষধের নামের তালিকা

ঘুমের ঔষধের বিকল্প ভেষজ দ্রব্য

• হালকা গরম দুধ – হালকা গরম দুধ অনায়াসেই ঘুমের ওষুধের বিকল্প হতে পারে। অনেকেরই রাতের ঘুমে সমস্যা হয়। যাঁরা রাতে ঠিক সময়ে ঘুমাতে পারছেন না বা বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করে সারা রাত কাটাচ্ছেন, তাঁরা রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধ খেয়ে শুতে পারেন। দুধে আছে ট্রাইপটোফান ও এমিনো অ্যাসিড, যা শরীরে ঘুমের আবেশ সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও দুধের ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রাইপটোফান ব্যবহারে সহায়তা করে। এক গ্লাস দুধ খেলে আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায় এবং শরীর কিছুটা হলেও শিথিল হয়ে আসে। ফলে ঘুম সহজেই চলে আসে।
• পাকা কলা – কলা খেলে রাতে ভাল ঘুম হয়। কলাকে ঘুমের ওষুদের বিকল্পও বলা যেতে পারে। কলায় আছে ম্যাগনেসিয়াম যা মাংসপেশীকে শিথিল করে। এ ছাড়াও কলা খেলে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন নির্গত হয়ে শরীরে ঘুমের আবেশ নিয়ে আসে। তাই যাঁদের ঘুম হয় না, তাঁরা রাতের খাবারের সঙ্গে কলা রাখতে পারেন।
• আলু – সেদ্ধ আলু বা রান্না করা আলু আপনার রাতের ঘুমের সহায়ক একটি খাবার হতে পারে। আলু খেলে ট্রাইপটোফানের সাহায্যে হাই তোলায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী এসিড নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আপনার মস্তিষ্ক বেশ দ্রুতই আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করতে পারে।
• মধু – মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে যা মতিষ্ককে সচল রেখে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ প্রবেশ করে এবং ওরেক্সিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কিছু ক্ষণের জন্য, যা আপনাকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সহায়তা করবে।
• বাদাম – রাতের ঘুমের জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো বাদাম। যাদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় তারা প্রতিদিন রাতের খাবারে ১০/১২ টি বাদাম খেলে রাতের ঘুম ভাল হবেঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি

ঘুমের ঔষধের অপকারীতা

সাধারনত একজন মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত্‍। যখন আপনার ঘুম ক্রমাগত ভাবে কম হবে আপনি তখন হয়তো ঘুমের ঔষধ থাওয়া শুরু করবেন। কিন্তু ঘুমের ঔষধ সেবন করতে হলে অবশ্যই চিকিত্‍সকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ভাবে রোজ ঘুমের ওষুধ সেবন করলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে।

• ঘুমের ঔষধ সেবন করলে তন্দ্রাছন্নতা দেখা দিবে। আর তন্দ্রাছন্ন অবস্থায় কোন যানবাহন সহ ভাড়ী যন্ত্রপাতি চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি
• আপনি ঘুমের ঔষধ সেবন করলে আপনার ব্যবহার আচার দিন দিন পাল্টে যাবে। কারন ঘুমের চাহিদা আপনার শরীরে সবসময় থাকবে আর ঘুম লাগলে ক্লান্ত অনুভূত হয়। তখন ভালো কথাও আপনার শুনতে খারাপ লাগবে ও খিটখিটে মেজাজ প্রভৃতি নানারকমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি
• ঘুমের ঔষধ একটি নেশা দ্রব্য মতই কাজ করে। ঘুমের ঔষধ গ্রহণকারীর হ্যালোসিনেশন সমস্যাগুলো দেখা দেয়।
• অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ঘুমের ঔষধ মানুষের হার্ট ও ব্রেনের রক্তনালীর রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। আবার অনেকসময় অতিরিক্তি ঘুমের ওষুধ খেলে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে পারে। এমনকি অনেকে কোমায় চলে যেতে পারে সেই সাথে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।
• ঘুমের ঔষধ খেলে শরীরে সবর্দা ঘুমের প্রভাব ফেলে। এর কারনে শরীর থেকে বর্জ্য বেড়িয়ে যেতে বাধাগ্রস্থ হয়। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায়। এছাড়া ঘুমের ঔষধ নিয়মিত খেতে থাকলে একই মাত্রার পাওয়ার আর কাজ করে না। তাই ওষুধ ছাড়াই ঘুমানোর চেষ্টা করুন

আমাদের আর্টিকেল বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে তা নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে অথবা আমাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে পারেন আমাদের আর্টিকেল রাইটিং টিম আপনার অভিযোগ বা পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে