রোজার নিয়ত

রোজার নিয়ত – আরবি ,বাংলা উচ্চারণ নিয়ত কখন করতে হয়

রোজার নিয়ত পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে । মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের আশায় এক মাস সিয়াম সাধনা করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ।‘সাওম’অর্থ বিরত থাকা; এর বহুবচন হলো‘সিয়াম’। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওমকে‘রোজা’বলা হয় । রোজা রাখা ও রোজা ভেঙে ইফতার করার জন্য রয়েছে অলাদা দোয়া ।
.

আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে বলেন,‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে । সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে ।’‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো ।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত ১৮৫ ও ১৮৩) ।

রোজার নিয়ত

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

অনেকে হয়তো এ দোয়া জানেন না । কিংবা জানলেও ভুলে গেছেন । তাদের জন্য দেওয়া হলো রোজা রাখার নিয়ত-

রোজা রাখার নিয়ত

উচ্চারণ-নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম ।

অর্থ-হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে তা কবুল কর । নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী ।


রোজার বাংলা নিয়ত

হে আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফের ফরজ রোযা রাখার নিয়ত করছি । আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন । নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত ।

রোজার নিয়ত


আরো পড়ুনঃ ছেলেদের পাঞ্জাবি কোড 541 কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

রমজান শুরু হলে অনেকেই রোজার নিয়ত নিয়ে চিন্তিত থাকেন । অনেকে মনে করেন, রোজার নিয়ত মুখে করতে হয় । সমাজে যে আরবি নিয়ত প্রচলিত আছে তা বলতে হয়, নইলে কমপক্ষে মুখে এতটুকু বলতে হয় যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করছি । এমন ধারণা সঠিক নয় । কারণ রোজার জন্য মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়; বরং অন্তরে রোজার সংকল্প করাই যথেষ্ট । এমনকি রোজার উদ্দেশ্যে সেহরি খেলেই রোজার নিয়ত হয়ে যায় । সুতরাং এ কথা ভাবার কোনো সুযোগ নেই যে, মুখে রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না ।
.

রোজার নিয়ত আরবি

রোজার ফরজ ২টি

নিয়ত করা,
. সুবহে সাদিকের পর হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা ।
রোজার নিয়ত ফরজ কিন্তু রোজার আরবি বা বাংলা দোয়া মুখে উচ্চারণ করা জরুরি না, যদি আপনি মনে মনে ইচ্ছা করেছেন বা নিয়ত করেছেন, যে আগামী কাল আমি রোজা রাখবো,

রোজার নিয়ত


.
শুধু মনে মনে ইচ্ছে করছেন কিন্তু মুখে দোয়া উচ্চারণ করেন নি তাহলেও ১০০ নিশ্চিত থাকেন যে আপনার নিয়ত হয়ে গেছে, নিয়ত নিয়ে কোনো সমস্যা হবেনা, তবে রোজার নিয়ত মুখে বলা উত্তম তাই আমরা রোজার দোয়া মুখে উচ্চারণ করবো ইনশাল্লাহ ।
.আবার কারো কারো মতে রোজার ফরজ ৩টি

নিয়ত করা
সকল প্রকার পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা

সময়
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া সমূহ সম্পর্কে আপনাকে জানাতে পেরে সত্যি আমরা আনন্দিত, আমরা উপরে যে বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনা করলাম আল্লাহ তায়ালা তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুন আমিন, ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্য ভাইকে দেখার সুযোগ করে দিন, অবশ্যই আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিধান দিবেন আসসালামু আলাইকুম

রোজার নিয়ত

আরো পড়ুনঃ চুল কাটার মেশিন সরাসরি কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

রোজার নিয়ত বাংলা

বহু প্রচলিত রোজার নিয়ত-
-نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
উচ্চারণ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম ।

. অর্থ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম । অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী ।
.

রোজার নিয়ত কখন করতে হয়

সাহরির পর এভাবেও রোজার নিয়ত করা যেতে পারে-

  • بِصَوْمِ غَدٍا نَوَيْتُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَان
    উচ্চারণ : বিসাওমি গাদিন নাওয়াইতু মিন শাহরি রামাদান।
    অর্থ : আমি রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।

রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ

নিয়ত সম্পর্কিত কিছু জরুরি কথা-
আরবি কিংবা বাংলায় মুখে নিয়তের উচ্চারণ বলা জরুরি নয়। এ সম্পর্কে আল্লামা শামি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ফাতাওয়ায়ে শামিতে উল্লেখ করেছেন-
‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’। আর ‘মনের দৃঢ় সংকল্পকে’ আজম বলা হয়।

আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া টু বাংলাদেশ বিমান ভাড়া কত

রোজা রাখার জন্য নিয়ত ফরজ- এ বিষয়টি অনেকে জানে-ই না। তাই অনেকে রোজার নিয়ত মুখে বলা বা মনের সংকল্প কোনোটিই করেন না। আবার মুখে রোজা প্রচলিত নিয়ত তথা আরবি ও বাংলা শব্দগুলো উচ্চারণ করে অন্তরে রোজা রাখার দৃঢ় সংকল্প না থাকলে তা নিয়ত হবে না। তাই রোজা রাখার বিষয়টি অন্তরের দৃঢ় সংকল্পে থাকতে হবে।

সুতরাং মূল কথা হলো- রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত করতে হবে। মুখে উচ্চারণ করার পরও অন্তরে একনিষ্ঠ সংকল্প রাখতে হবে। তবেই রোজা আদায় হবে।

রোজার নিয়ত বাংলা অর্থ

রোজার নিয়ত করার সময় ফরজ রোজার নিয়ত সাহরির পর রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম। হজরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।’ (আবু দাউদ)

রোজার নিয়ত কখন করতে হয়

অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে, ‘দিনের দ্বিপ্রহরের আগে রোজার নিয়ত করা না হয়ে থাকলে সেই রোজা বিশুদ্ধ হবে না। এর পরও রোজাহীন অবস্থায় দিনের বাকি সময়ে পানাহার করা রমজানুল মোবারকের সম্মানের বিরোধী বলে তা জায়েজ নয়।’ (ইমদাদুল ফাতাওয়া)

সুতরাং রমজানের ফরজ রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা এবং নফল রোজাসমূহের নিয়ত রাতের বেলা অথবা শরিয়তের ঘোষিত দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত করা গেলেও সব ধরনের রোজার জন্য রাতেই নিয়ত করে নেওয়া জরুরি। (ফাতাওয়া দারুল উলুম)

রোজার নিয়ত করা কি ফরজ

রোজা পালনে সাহরি ও ইফতার গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি রোজার নিয়তও জরুরি। তবে এই ক্ষেত্রে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠা ও সাহরি খাওয়াটাই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত।

আরও পড়ুন: বড় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ? বড় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস

বস্তুত মনের ইচ্ছাই হলো- নিয়ত। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে। (সূত্র : আল-বাহরুর রায়েক : ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ : ১/১৭৬; রাদ্দুল মুহতার : ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫)

রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা

আরবি নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ

আরও পড়ুন: মাথা ব্যথার ১০ টি ঔষধের নামের তালিকা

রোজার নিয়ত দোয়া

ইফতারের পরের দোয়া

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন-

ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

বাংলা উচ্চারণ : জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতাল্লাতিল উ’রুকু; ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।

অর্থ : ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *