রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

জানবো বিডি ডট নেট এর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়, রোনালদো কোন দেশের নাগরিক, রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী, রোনালদো কত টাকার মালিক, রোনালদো কোন দেশের প্লেয়ার, রোনালদো কোন ক্লাবে খেলে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানব।

আমাদের www.gazivai.comওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করুন। সবথেকে কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট করুনwww.gazivai.com

রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। নেইমারের সঙ্গে একই দিনে জন্মদিন হলেও ফুটবলীয় অর্জনে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। পর্তুগালের মাদেইরা দ্বীপপুঞ্জে জন্ম গ্রহণ করা রোনালদো রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়
রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান কস্তুরি গোল্ড কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন

রেকর্ড পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এই ফুটবলার অনেকের চোখেই বিশ্বসেরা। তিনবারের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী রোনালদো দুবার জিতেছেন লা লিগা। এছাড়া চারবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রোনালদো বিশ্ব ক্লাবকাপও জিতেছেন চারবার।

একটি এফএ কাপ, দুটো লিগ কাপ ও দুবারের কোপা দেল রে জয়ী এই ফরোয়ার্ড অবশ্য নিজের সসেরা সাফল্য হিসেবে পর্তুগালের হয়ে ২০১৬ ইউরো জেতার কথাই বলেন। ২০১৫ সালেই পর্তুগালের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে রোনালদোর নাম ঘোষণা করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।

ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলের মালিক রোনালদো দেশের হয়েও সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার তিনে আছেন। এক পঞ্জীকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোল (৩২) তাঁর। চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (২৯) সর্বোচ্চ গোলদাতাও রোনালদো।

আরো পড়ুনঃ কেডস জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ লোফার জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর ডেটক্সি স্লিম কেনার জন্য ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ব্রণের দাগ, কালো দাগ, কাটা দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের নাইট ড্রেস সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ৩০,৩২,৩৪, সাইজের স্পোর্টস ব্রা কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ৩০,৩২,৩৪, সাইজের ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ৩০,৩২,৩৪, ফোম কাপ ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ  ৩০,৩২,৩৪, সুতি স্পোর্টস ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক  – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ দারাজে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত জাঙ্গিয়া  কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

প্রথম ফুটবলার হিসেবে ম্যাচের প্রতি মিনিটে গোলের রেকর্ড করেছেন এই রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টানা সাতটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় (ইউরো-২০০৪,০৮,১২,১৬ ও বিশ্বকাপ-০৬,১০১৪) গোল করেছেন। প্লেমেকার হিসেবেও তিনি কম যান না, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সতীর্থদের দিয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করানোর রেকর্ডও পর্তুগিজ অধিনায়কের।

১৯৮৫ সালে মাদেইরার রাজধানী ফানচালে জন্ম গ্রহণ করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ডস সান্তোস অ্যাভেইরো। মালী বাবা ও রাধুনী মায়ের ঘরের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান রোনালদো। যুক্তরাস্ট্রের সাবেক রাস্ট্রপতি রোনাল্ড রিগ্যানের নাম থেকেই রোনালদো নামটা বেছে নিয়েছেন জোসে দিনিস ও মারিয়া ডলোরেস।

শৈশবটা অভাব অনটনে কেটেছে রোনালদোর। স্থানাভাবে অ্যাভেইরো পরিবারের চার সন্তানই একই রুমে বেড়ে উঠেছে। আর ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ফোর্বস সাময়িকীর সর্বোচ্চ আয় করা অ্যাথলেটদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন রোনালদো।

রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়
রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

রোনালদো কোন দেশের প্লেয়ার

রোনালদোর ফুটবলার হওয়ার পেছনে তাঁর বাবা-মার অবদান সবচেয়ে বেশি। পরিবারের খরচ জোগাতে পৌরসভার মালির চাকরির বাইরে স্থানীয় ক্লাব অন্দোরিনহার কিট ম্যানও ছিলেন রোনালদোর বাবা জোসে। সে সুবাদেই মাত্র ৭ বছর বয়সে আন্দোরিনহায় যোগ দেন রোনালদো।

১২ বছর বয়সে স্পোর্টিং সিপির তিন দিনের এক ট্রায়ালে যাওয়াটাই রোনালদোর জীবনের গল্পটা পালটে দেয়। মেদেইরা ছেড়ে লিসবনে স্পোর্টিংয়ের ইয়ুথ একাডেমিতে যোগ দেন ক্রিস্টিয়ানো। ১৪ বছর বয়সেই ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে নিঃসন্দেহ হয়ে যাওয়ায় মায়ের সঙ্গে কথা বলে লেখাপড়ায় ইস্তফা দেন।

পরের বছরই শারীরিক সমস্যায় ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁর। হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কায় পড়েছিলেন রোনালদো। অস্ত্রোপচার করে সে শঙ্কা কাটিয়ে আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রোনালদোকে।

পেশাদার ক্যারিয়ারের অভিষেকে জোড়া গোল করা রোনালদো ক্লাব ফুটবলে স্পোর্টিং সিপির পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন। আর এ যাত্রায় গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড।রিয়াল মাদ্রিদীর ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন রোনালদো। মাত্র ৯ মৌসুম খেলেই লা লিগায় রেকর্ড ৩৩টি হ্যাটট্রিক তাঁর।

এতেই লা লিগায় দ্রুততম দেড় শ, দুই শ ও তিন শ গোলের রেকর্ডটি এখন রোনালদোর দখলে। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৬ মৌসুমে কমপক্ষে ৫০ গোল তাঁর। টানা ৭ পঞ্জীকাবর্ষে ৫০ গোল করার রেকর্ডটিও শুধুই রোনালদোর। মেসির সঙ্গে যুগ্মভাবে ফিফার বর্ষসেরা দলে এগারোবার জায়গা পেয়েছেন, তবে রোনালদোই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুই ক্যাটাগরিতে ফিফার দলে নাম লিখিয়েছেন।

ইউরোপিয়ান ফুটবলে রোনালদোর আধিপত্য আরও ভয়ংকর। মোট ১২বার উয়েফার বর্ষসেরা দলে জায়গা পেয়েছেন রোনালদো। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেসি যা করতে পেরেছেন মাত্র ৯ বার। এর পেছনে চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর অর্জনই ভূমিকা রেখেছে।

আরও পড়ুন:  সানি লিওনের এক্সপ্রেস ভিডিও

আরও পড়ুন:  রিয়েলমি 7i বাংলাদেশ প্রাইস,Realme 7i Price in Bangladesh

আরও পড়ুন: চেহারা সুন্দর করার দোয়া

আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া টু বাংলাদেশ বিমান ভাড়া কত

আরও পড়ুন: কাশির ঔষধ ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ.

আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ

ইউনাইটেড ও রিয়ালের হয়ে চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পথে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ প্রতিযোগিতায় ১০০ গোল করেছেন। কোনো নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে ১০০ গোল করা প্রথম ফুটবলারও রোনালদো। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচে গোল করার অনন্য অর্জনটিও শুধুই তাঁর।

ব্যক্তিগত জীবনে চার সন্তানের জনক রোনালদো। সাত বছরের রোনালদো জুনিয়র ২০১৭ সালের জুনে এক বোন ও এক ভাই পেয়েছে সঙ্গী হিসেবে। আর বছরের শেষভাগে বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের গর্ভে রোনালদোর দ্বিতীয় কন্যার জন্ম হয়েছে।

রোনালদো কোন দেশের নাগরিক

  • ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দোস সান্তোস আভেইরো Cristiano Ronaldo dos Santos Aveiro, (জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫) একজন পর্তুগিজ পেশাদার ফুটবলার, যিনি প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং পর্তুগাল জাতীয় দলে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলে থাকেন।
  • প্রায়ই বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য রোনালদো পাঁচটি Balon D Or এবং চারটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শো অর্জন করেছেন, যা কোন ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক জয়।
  • কর্মজীবনে তিনি ৩২টি প্রধান সারির শিরোপা জয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে সাতটি লীগ শিরোপা, পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, একটি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, এবং একটি উয়েফা নেশনস লীগ শিরোপা।
  • রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লীগে সর্বাধিক ১৩৪টি গোল এবং ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বাধিক ১২টি গোলের রেকর্ড রয়েছে। তিনি অল্পসংখ্যক খেলোয়াড়দের একজন যিনি ১,১০০টির উপর পেশাদার খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তার ক্লাব ও দেশের হয়ে ৭৯০টির বেশি গোল করেছেন। তিনি ১০০টি আন্তর্জাতিক গোল করা দ্বিতীয় পুরুষ ফুটবলার এবং প্রথম ইউরোপীয়।
  • মাদেইরায় জন্মগ্রহণ করা ও বেড়ে ওঠা রোনালদো এডরিনহার হয়ে তার যুব ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ন্যাশিওনালে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেখানে তিনি ২ বছর খেলেন। ১৯৯৭ সালে রোনালদো পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং সিপিতে আসেন এবং সেখানে ২০০২ সালে তার প্রাপ্তবয়স্ক ক্লাব কর্মজীবন শুরু করেন।
  • স্পোর্টিং সিপির হয়ে খেলার সময় রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন, যিনি তাকে ২০০৩ সালে £১২.২৪ মিলিয়নের (€১৫ মিলিয়ন) বিনিময়ে ইউনাইটেডে নিয়ে আসে।
  • ২০০৪ সালে রোনালদো ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম শিরোপা এফএ কাপ জেতেন এবং দলটিকে টানা তিনটি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা, একটি চ্যাম্পিয়নস লীগ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করেন। ২৩ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম অর্জন করেন।
  • রোনালদো ইংল্যান্ডে খেলা প্রথম খেলোয়াড় যিনি প্রধান ৪টি পিএফএ এবং এফডব্লিউএ পুরস্কার জিতেছেন, যা তিনি ২০০৭ সালে করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি ৪টি প্রধান পিএফএ এবং এফডব্লিউএ ট্রফির মধ্যে ৩টি জেতেন এবং ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার, ফিফপ্রো প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার, ওয়ার্ল্ড সকার প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার এবং ওনজে দ’অর অ্যাওয়ার্ড জেতেন। 
  • ২০০৭ ও ২০০৮ সালে রোনালদোকে এফডব্লিউএ প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে £৮০ মিলিয়নের (€৯৪ মিলিয়ন/$১৩১.৬ মিলিয়ন) বিনিময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে তাদের দলে নিয়ে আসে, যার ফলে রোনালদো সেইসময় ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়ের সম্মান পান।
  • রোনালদো ২০০৯ সালে সেরা গোলের জন্য প্রথম পুস্কাস অ্যাওয়ার্ড জেতেন। তিনি ২০০৮ ও ২০১১ সালে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু পুরস্কার লাভ করেন। মাদ্রিদে তিনি মোট ১৫টি শিরোপা জেতেন, তন্মধ্যে রয়েছে দুটি লা লিগা শিরোপা, দুটি কোপা দেল রে, ও চারটি চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা, এবং তিনি এই ক্লাবের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
  • মাদ্রিদে যোগদানের পর তিনি বালোঁ দরের দৌড়ে তিনবার তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির কাছে পরাজিত হয়ে রানার-আপ হন এবং ২০১৩-২০১৪ সালে টানা দুবার ও ২০১৬-২০১৭ সালে আবারও টানা দুবার বালোঁ দর অর্জন করেন।
  • তিনিই একমাত্র পর্তুগিজ যিনি ৫ বার এই পুরস্কার জিতেছেন। ২০১৮ সালের টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫টি চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জয় করেন।
  • ২০১৮ সালে তিনি প্রারম্ভিক €১০০ মিলিয়নের (£৮৮ মিলিয়ন) ট্রান্সফার ফিতে ইয়ুভেন্তুসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন, যা কোন ইতালীয় ক্লাবের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক এবং ত্রিশোর্ধ্ব কোন খেলোয়াড়ের জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। ইয়ুভেন্তুসে তিনি প্রথম তিনি মৌসুমেই দুটি সেরিয়ে আ শিরোপা, দুটি সুপারকোপা ইতালিয়ানা, ও একটি কোপা ইতালিয়া জয় করেন।

রোনালদো কোন ধর্মের অনুসারী

রোনালদো শীর্ষ ইউরোপিয়ান লীগগুলোর মধ্যে প্রথম খেলোয়াড় যিনি পর পর দুই মৌসুমে ৪০ গোল করেছেন, রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে ১০০ লীগ গোল করেছেন এবং তিনিই প্রথম খেলোয়াড় যিনি লা লিগায় প্রত্যেক দলের বিরুদ্ধে গোল করেছেন।এছাড়াও তিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল ও লা লিগায় মিনিট প্রতি সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডের অধিকারী।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি তার ৩০০তম ক্লাব গোল পূর্ণ করেন।২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি তার ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল করেন। এছাড়া তিনি ২০১৭ সালে ক্যারিয়ারের ৬০০ তম গোল করেন। রোনালদো বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০০ গোল করার রেকর্ড গড়েন।

তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১১ ম্যাচে গোল করেন। এছাড়া তিনি এই আসরে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৫ গোলের রেকর্ড গড়েন এবং ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন যা আরেকটি রেকর্ড।

রোনালদো পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে খেলেন, যাদের হয়ে ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে কাজাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার অভিষেক ঘটে। তিনি জাতীয় দলের হয়ে ১০০ এর অধিক ম্যাচ খেলেছেন এবং তিনি পর্তুগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের অধিকারী।

তিনি পর্তুগালের হয়ে প্রধান ৫টি টুর্নামেন্ট; ২০০৪ উয়েফা ইউরো, ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ, ২০০৮ উয়েফা ইউরো, ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০১২ উয়েফা ইউরোতে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০০৪ সালের উয়েফা ইউরোর প্রথম খেলায়, গ্রিসের বিরুদ্ধে তিনি তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন।

২০০৮ সালের জুলাই মাসে পর্তুগালের অধিনায়ক হন এবং ২০১২ সালের উয়েফা ইউরোতে অধিনায়ক হিসেবে দলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান এবং প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোল করেন।

তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ঐতিহ্যবাহী ৭নং জার্সি পড়ে খেলতেন, যা পূর্বে জর্জ বেস্ট, এরিক কাঁতোয়াঁ এবং ডেভিড বেকহ্যামের মত তারকারা পড়তেন। রিয়াল মাদ্রিদে প্রথম বছর তিনি ৯ নং জার্সি নিয়ে খেলেন। রিয়াল মাদ্রিদ লিজেন্ড রাউলের ক্লাব ছাড়ার পর রোনালদো ৭ নং জার্সি লাভ করেন।

রোনালদো কত টাকার মালিক

সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বলে বিবেচিত এই পর্তুগিজ উইঙ্গার। ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ বাদে সব শিরোপাই জিতেছেন তিনি। কিছু দিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন সিআর সেভেন। শোনা যাচ্ছে, নতুন চুক্তি অনুযায়ী- ক্লাবটি থেকে বছরে ১৯ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড পকেটে ভরবেন এ মহাতারকা। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন থেকে আয় তো রয়েছেই। বর্তমানে তার মোট সম্পদমূল্য প্রায় ২০০-২৫০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের কাছাকাছি।

রোনালদো স্পোর্টিং এর অন্যান্য তরুণ খেলোয়াড়ের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দলে “ফুটবল কারখানা” হিসেবে পরিচিত আলকোচেতে। এখানে তিনি প্রথম-শ্রেণীর প্রশিক্ষণ পান। স্পোর্টিং বুঝতে পারে রোনালদোর আরো সমর্থন দরকার। তাই তারা রোনালদোর মাকে তার কাছে রাখার ব্যবস্থা নেয়। স্পোর্টিং-এর পক্ষে তার অভিষেক খেলায় তিনি দুই গোল করেন মোরেইরেন্সের বিপক্ষে। তিনি পর্তুগালের হয়ে উয়েফা অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছেন।

উয়েফা অনূর্ধ্ব ১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে তার কৃতিত্বের কারণে তিনি ফুটবল বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষনে সমর্থ হন। লিভারপুলের সাবেক ম্যানেজার জেরার্ড হুলিয়ার ১৬ বছর বয়সের রোনালদোর দিকে আকৃষ্ট হন। কিন্তু লিভারপুল তাকে দলে নিতে অস্বীকৃতি জানায় কারণ তিনি ছিলেন খুবই কম বয়সী ও শীর্ষ ফুটবলার হতে তার আরো সময় দরকার ছিল রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

২০০৩ সালের গ্রীষ্মে তিনি স্যার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হন যখন লিসবনে স্তাদিও জোসে এলভালাদে স্টেডিয়াম উদ্বোধনের জন্য আয়োজিত খেলায় স্পোর্টিং ৩-১ গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে দেয়। রোনালদো দুই উইংয়েই খেলার দক্ষতা দেখান। এই খেলার পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা তরুণ রোনালদোর প্রশংসা করেন ও বলেন ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে খেলার চেয়ে তাকে নিজেদের দলে খেলতে দেখতে চান

রোনালদো কোন ক্লাবে খেলে

ডেভিড বেকহ্যাম রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ার পর ফার্গুসন সিদ্ধান্ত নেন তিনি রোনালদকে দলে নেবেন। রোনালদো ১২.২৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেন।রোনালদোকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঐতিহ্যবাহী ৭নং জার্সি দেয়া হয়, যেটি পড়ে একসময় মাঠ কাঁপিয়েছেন জর্জ বেস্ট, ব্রায়ান রবসন, এরিক ক্যান্টোনা ও ডেভিড বেকহ্যাম।রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

ওল্ড ট্রাফোর্ডে বোল্টন ওয়ান্ডারার্সের বিরুদ্ধে ৬০তম মিনিটের পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে রোনালদোর ম্যানচেস্টারের পক্ষে অভিষেক হয়। তখন ইউনাইটেড ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। তিনি একটি পেনাল্টি জিতেন, তবে রুড ভ্যান নিস্তেলরয় সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন।

তবে এ খেলার ফলাফলে সেটির কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়েনি, ইউনাইটেড এতে ৪-০ গোলে জয়ী হয়। তিনি পোর্টসমাউথের বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোল করেন যে খেলায় ইউনাইটেড ৩-০ গোলে জয়লাভ করে। রোনালদো ইউনাইটেডে তার প্রথম মৌসুম শেষ করেন মিলওয়ালির বিপক্ষে ২০০৪ এফএ কাপের ফাইনালে প্রথম গোল করার মাধ্যমে এবং ইউনাইটেড ৩-০ গোলে শিরোপা নিশ্চিত করে।রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

২৯ অক্টোবর ২০০৫ সালে রোনালদো প্রিমিয়ার লীগে ইউনাইটেডের ১০০০ তম গোল করেন যদিও মিডেলসবার্গের বিরুদ্ধে ওই খেলায় ইউনাইটেড ৪-১ গোলে পরাজয় বরণ করে।তিনি ২০০৫ সালে সকল প্রতিযোগিতায় ১০ গোল করেন এবং ভক্তরা তাকে ২০০৫ ফিফপ্রো স্পেশাল ইয়াং প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করে।

১৪ জানুয়ারি ২০০৬ সালে সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে (খেলায় ইউনাইটেড ৩-১ গোলে পরাজিত হয়) প্রাক্তন ইউনাইটেড খেলোয়াড় অ্যান্ড্রু কোলকে লাথি মারার জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

উইগান অ্যাথলেটিকের বিরুদ্ধে ২০০৫-০৬ মৌসুমের ফুটবল লীগ কাপের ফাইনাল ম্যাচে তিনি তিনি ৩য় গোলটি করে (ইউনাইটেড ৪-০ গোলে জয়লাভ করে) দলকে শিরোপা জেতাতে সাহায্য করেন যা ইংলিশ ফুটবলে তার ২য় শিরোপা ছিল।

রোনালদো অনেক দাতব্য কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকেছেন। ২০০৫ সালের জুনে তিনি মার্তুনিস নামে এক ১১ বছর বয়সী সুনামি থেকে বেঁচে যাওয়া ইন্দোনেশিয়ান ও তার বাবাকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দেখার সুযোগ করে দেন, যার সম্পূর্ণ খরচ তিনি নিজে বহন করেন। পরে সব খেলোয়াড়েরা মিলে তার জন্য ইন্দোনেশিয়ায় একটি বাড়ি কিনতে সাহায্য করেন।রোনালদো কোন দেশের খেলোয়াড়

২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রিস্তিয়ানো তার নিজ শহরে “সিআর৭” নামে একটি ফ্যাশন স্টোর স্থাপন করেন। তার বোনেরা এটির দেখাশোনা করেন।

দুটি বিশ্বকাপ বাছাই খেলার পর রোনালদো ইন্দোনেশিয়ায় যান। তিনি সেখানকার সুনামিদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অর্থ-সাহায্য তুলতে অংশ নেন। তিনি ইন্দোনেশিয়ার উপ-রাষ্ট্রপতি জুসুফ কাল্লা ও পূর্ব টিমোরের রাষ্ট্রপতি জানানা গুসমাওর সাথে দেখা করেন এবং তার নিজস্ব খেলার সরঞ্জামাদির নিলাম করে ৬৬,০০০ পাউন্ড সংগ্রহ করেন।

আমাদের আর্টিকেল বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে তা নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে অথবা আমাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে পারেন আমাদের আর্টিকেল রাইটিং টিম আপনার অভিযোগ বা পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *