ঈদের নামাজের নিয়ম

ঈদের নামাজের নিয়ম । ঈদের ।

ঈদের নামাজের নিয়ম । প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম। পবিত্র মাহে রমজানের পরে আসছে ঈদুল ফিতর। আমাদের প্রত্যেকেরই ঈদুল ফিতরের নামাজ সম্পর্কে জানা অতীব প্রয়োজন। তো বন্ধুরা চলুন জেনে নেয়া যাক ঈদের নামাজ সম্পর্কে

আরও পড়ুনঃ সূরা কদর

আরও পড়ুনঃ  শবে কদরের দোয়া

আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে জানাবো ঈদের নামাজের নিয়ম? ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম? ঈদের নামাজ? ঈদের নামাজের নিয়ত? ঈদের নামাজ কি? ঈদের নামাজে কয় তাকবীর? ঈদের নামাজের আরবি নিয়ত? ঈদের নামাজ কয় রাকাত?

ঈদের নামাজের দোয়া এবং ঈদের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে এছাড়াও যেকোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কম দামে পণ্য ক্রয় করতে ভিজিট করুন গাজি ভাই ডট কম।

আরও পড়ুনঃ রোমানিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

ঈদের নামাজের নিয়ম

ঈদের নামাজ ঈদের নামাজ ছাড়াও সালাতুল ঈদের এবং সালাতুল ইদাইন নামে পরিচিত। পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য উৎসবের দিন আনন্দের দিন। ঈদ-উল-ফিতর হিজরি সনের দশম মাস মাহে রমজানের পরে শাওয়াল এর প্রথম দিন উদযাপন করা হয়।

ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ, বাসাবাড়ি যেকোনো বরাদ্দকৃত জায়গায় পড়া হোক না কেন অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হয়। ঈদের নামাজ মূলত জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন হয় ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য একটি শর্ত মানা হয়।

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ পড়ার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সেগুলো হলোঃ-

আরও পড়ুনঃ হৃদয় নামের অর্থ কি

আরও পড়ুনঃ রাইনা নামের অর্থ কি

  • স্বাভাবিক নামাজের মতই তাকবীর তাহরিমা বলে হাত বাধতে হয়। তারপর ছানা পাঠ করতে হবে।
  • এরপর অতিরক্ত তিনটির তাকবীর বলবে। প্রথম দুই তাকবীরের হাত কান পর্যন্ত তুলে ছেড়ে দেবে এবং তৃতীয় তাকবীরের সময় হাত বেঁধে ফেলবেন। ( প্রতিবার তাকবীরের পর তিন বার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এমন সময় থেমে থাকতে হয়)।
  • এরপর আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজীম এবং বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ার পর ইমাম সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন এবং এর সঙ্গে অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
  • এরপর স্বাভাবিক নামাজের মতো রুকু সেজদা করে প্রথম রাকাত নামাজ শেষ করবেন।
  • এরপর দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরক্ত তিনটে তাকবীর দেবেন প্রতি তাকবীরের সঙ্গে হাত উঠাবেন এবং হাত ছেড়ে দেবেন তারপর চতুর্থ তাকবীর ( আল্লাহু আকবার) বলে রুকুতে চলে যাবে।
  • এরপর স্বাভাবিক নামাজের মতই সেজদা ও আখেরি বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
  • নামাজ শেষে ইমাম সাহেব মিম্বারে উঠে দুটি খুতবা পাঠ করবেন। ইমাম সাহেবের খুতবা দুটো মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। খুৎবা শোনা ওয়াজিব।
  • খুৎবা শোনা শেষ করে সবাই ঈদগাহ ময়দান ত্যাগ করবেন
ঈদের নামাজ

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। ঈদের নামাজ স্বাভাবিক আমাদের মত পড়া হয়না। ঈদের নামাজের 2 রাকাত নামাজে কোন আযান ও ইকামত নেই। ঈদের নামাজে থাকে অতিরিক্ত ৬ টি তাকবীর।

ঈদের নামাজ ঈদগাহ ময়দানে পড়াই উত্তম। তবে মক্কাবাসিদের জন্য মসজিদে হারামে ঈদের নামাজ পড়া উত্তম। সূর্য উদিত হয় একবর্শা অর্থাৎ অর্থ পরিমাণ উচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বাকি থাকে।

ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে করে পড়া সুন্নত। নামাজের আগেই বেশি বেশি সদকাতুল ফিতরা আদায় হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ইসমাইল নামের অর্থ কি

আরও পড়ুনঃ সায়মা নামের অর্থ কি

ঈদের নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতা সালাতি ঈদিল ফিতর, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

ঈদের নামাজের আরবি নিয়ত

ঈদের নামাজ কয় রাকাত

ঈদের নামাজ ২ রাকাত । ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় কিংবা বারো তাক্ববির রয়েছে।

ঈদের নামাজ কয় তাকবীর

ঈদের নামাজ অনন্যসাধারণ আমাদের মত নয়। ঈদের দুই রাকাত নামাজে 6 টি তাকবীর রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবের ১ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা

আরও পড়ুনঃ ওমান ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

ঈদের নামাজের ফজিলত

মুসলমানদের জন্য ঈদের নামাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঈদের দিন মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় উৎসবের দিন। ঈদের নামাজ ঈদগা ময়দানের আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব এবং ঈদের নামাজ শেষে খুতবা শোনা ওয়াজিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *