বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া । বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া আরবি

শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সকলেরই পড়া উচিৎ তার আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া এবং বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ ও বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া আরবি এছাড়াও বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই ধারাবাহিকভাবে

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া পাঠ করতে হবে বাথরুমে প্রবেশের পূর্বে অর্থাৎ যখন আপনি বাথরুমে বাথরুম করার জন্য প্রবেশ করবেন তখন দরজা দিয়ে প্রবেশ সময় দোয়াটি পাঠ করে নিতে হবে। বাথরুমে প্রবেশের দোয়া টির মাধ্যমে বাথরুমে প্রবেশের পর শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটি করা হয়ে থাকে তো চলুন জেনে নেই।

بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ

উচ্চারণঃ ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’

অর্থঃ ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ শয়তান এবং স্ত্রী শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)

আরো পড়ুনঃ  পুরুষের লিঙ্গ – দোন ১-২ ইঞ্চি লম্বা করার আধুনিক ঔষধ

আরো পড়ুনঃ টাইটান জেল পুরুষের লিঙ্গদোন ইঞ্চি পর্যন্ত বড় মোটা করে

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

আমরা বাঙালি হওয়ায় আমাদের জন্য বাংলা উচ্চারণ করা খুবই সহজ আরবিতে আমরা অনেক সময় অর্থ বুঝি না আর দোয়া পড়ার সময় অবশ্যই আমাদের অর্থ বুঝে নেয়া উচিৎ নয় তো আমরা দোয়াটির মর্ম বাটি দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে সেটি বুঝতে পারব না।

আপনাদের সুবিধার জন্য দোয়াটি আরবী বাংলা উচ্চারন আমরা তুলে ধরেছি আশা করি এটি মুখস্ত করে নিবেন এবং দোয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া তাই এটি মুখস্ত করে নিবেন এবং যখনই বাথরুমে যাবেন তখন এটি পাঠ করে নেয়া উচিত সকলের জন্যই

উচ্চারণঃ ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’

অর্থঃ ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ শয়তান এবং স্ত্রী শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া আরবি

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া আরবি

বাথরুমে প্রবেশের আরবি দোয়াটি ইতিমধ্যে আমরা উপরে দুই বার তুলে ধরেছি এবার আমরা তুলে ধরব বাথরুমে প্রবেশ থেকে বের হওয়ার দোয়া শয়তান থেকে বের হওয়ার দোয়া এবার আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো। বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া কি হচ্ছে নিম্নোক্ত
غُفْرَانَكَ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذَى وَعَافَانِيْ.

উচ্চারণঃ ‘গোফরানাকা আল-হামদুলিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি।’

অর্থঃ ‘(হে আল্লাহ!) আপনার কাছে ক্ষমা চাই। সকল প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য; যিনি ক্ষতি ও কষ্টকর জিনিস থেকে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন।’

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা

বাথরুমে প্রবেশের বাংলা দোয়াটি উপরে দেয়া হয়েছে এবং সঠিক উচ্চারণ বাংলায় দেয়া হয়েছে এর বাহিরেও দোয়াটির অর্থ রয়েছে আপনি চাইলে সেখান থেকে সুন্দরভাবে এটি পড়ে নিতে পারেন তাহলে আপনি বাথরুমে প্রবেশের দোয়া এবং বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া মুখস্থ করে নিতে পারেন।

 আরো পড়ুনঃযে কোন মানুষকে এক মিনিটের মধ্যে অজ্ঞান করে ফেলার ঔষধ।

আরো পরুনঃ অপু বিশ্বাসের মোবাইল নাম্বার

আরো পরুনঃ লম্বা হওয়ার উপায়: মাত্র দিনে লম্বা হবেন

বাথরুমে প্রবেশ করার আদব সমূহ

টয়লেট ব্যবহারের আগে এবং পরে এই দুটি দোয়া পড়া ছাড়াও টয়লেটে যাওয়ার আগে এবং পরে কিছু আদব রক্ষা করার কথা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে মুমিন মুসলমানগন দুষ্ট জ্বিনদের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারে। তাহল-

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা

– টয়লেটে ঢুকার আগে ও পরে দোয়া আদায় করা এবং দুষ্ট জিনের আক্রমণ থেকে আশ্রয় চাওয়া।
– টয়লেটে ঢুকার আগে দোয়া পড়ে বাম পা দিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করা। ‘(আবু দাউদ)
– টয়লেটে যেতে মাথা ঢেকে রাখা। (বায়হাকি)
– খালি পায়ে টয়লেটে না যাওয়া। জুতা এবং স্যান্ডেল নিয়ে টয়লেটে যাওয়া। (কানজুল উম্মাল)
– কিবলার দিকে মুখ বা কিবলাকে পিছন করে না বসা। ‘(বুখারী)
– টয়লেটে গিয়ে বসার ঠিক আগে কাপড় খুলা। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব না করা। (নাসাই, তিরমিযী)
– প্রস্রাব এবং অপরিষ্কার পানি থেকে নিজেকে সাবধানে রাখা। ‘(বুখারী)
– প্রস্রাব পাায়খানা করার পর ঢিলা কুলুখ বা টয়লেট পেপার ব্যবহার করা। (বায়হাকি)
– বাম হাত দিয়ে কুলুখ এবং পানি ব্যবহার করা। (বুখারী)
– প্রস্রাব করার জন্য একটি নরম জায়গা খুঁজুন যেখান থেকে প্রস্রাব শরীরে বা কাপড়ে না আসে। (আবু দাউদ)
– ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করুন। (ইবনে খুযাইমা)
– ডান পা দিয়ে টয়লেট থেকে বের হওয়া। (আবু দাউদ)
– প্রবল বাতাসের দিকে মুখ করে প্রস্রাব না করা।
– অজু ও গোসলের জায়গায় বা স্থির পানিতে প্রস্রাব করবেন না।
– প্রস্রাব করার সময় কথা না বলা। (মুসনাদ আহমদ)
– হাড়, কয়লা, কাগজ, গাছের কাঁচা পাতা, খাবার, শুকনো গোবর দ্বারা ঢিলা-কুলুখ না করা। (তিরমিযি)

আমাদের আর্টিকেল গুলোতে আমরা সুন্দরভাবে আপনাদেরকে তথ্যগুলো বলে এবং বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি যদি কোন তথ্য আপনার বুঝতে অসুবিধা হয় সেটি অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে লিখে জানাতে পারেন।

বাথরুমে প্রবেশের এবং বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া এই আর্টিকেলটি কিভাবে লিখলে আরও বেশি পাঠক বুঝতে পারত এ সম্পর্কে যদি আমাদেরকে কোনো পরামর্শ দেয়ার থাকে সেটি অবশ্যই কমেন্টে আমাদেরকে দিবেন আমরা আপনাদের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করব

আরোপড়ুনঃ15 দিনে নিজের ওজন বাড়ানোর ঔষধ কিনুন মাত্র ৬০০ টাকায়

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার বডি বিল্ডো ঔষধ কিনতে ক্লিক করুনএখনই কিনুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *