শাহজাদপুর

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ

janbobd.net এর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে স্বাগতম আজকে আর্টিকেলে আমরা জানবো ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ, টিউমারের চিকিৎসা খরচ এবং ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম বেস্ট টিউমার হলে করনীয় কি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানো আজকের আর্টিকেল থেকে।

আমাদের www.gazivai.com ওয়েব সাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করুন সব থেকে কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট করুন www.gazivai.com.

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ

বিষয়টি অনেক জরুরী প্রত্যেকটা নারীর জন্য কারণ পুরো বিশ্বে যে পরিমাণ নারী ক্যান্সারে মারা যায় তার মধ্যেও প্রথম তালিকায় রয়েছে স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সার যদিও বিগত বছরের জরায়ু ক্যান্সার এই স্থানটি নিয়েছিল কিন্তু বর্তমানের জরায়ু ক্যান্সার কে পিছনে ফেলে স্তন ক্যানসার ক্যানসারের তালিকা প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে।

স্তন বা ব্রেস্ট এর কিছু কোশ্চেন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে তখন স্তন ক্যান্সার দেখা দেয়। তখনই অনিয়মিত বা অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা প্রিন্টে পরিণত হয় এবং রক্তনালীর অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এ ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা ক্যান্সার রোগের কারণ

এমন অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সাহায্য নিয়ে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা বা দীর্ঘ জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা আশল বিষয় হচ্ছে স্তন ক্যান্সার যদি আমরা শুরুতে বা প্রাথমিক স্তরের শনাক্ত করতে পারে তবে তার সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় শতভাগ নিরাময় করা যায়।

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ

চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ভালো হয়, এতে সন্দেহ নেই। তবে, এখানেও ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ বেশ কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেকেই পুরোপুরি ভালো হচ্ছেন। বাইরে চিকিৎসার আয়োজন করতে দুই/তিন মাস লেগে যায়। ততদিনে সমস্যা বাড়ে।

সাধারণত যারা এ রোগে আক্রান্ত হন তাদের উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ থাকে। কেমো বা রেডিওথেরাপি দেয়ার সময় এসব রোগও বেড়ে যায়। তখন সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন হয়। এতো সমস্যায় রোগী অনেক অসহায় হয়ে পড়ে। মনের জোর হারিয়ে ফেলে। আবার দীর্ঘদিন বাইরে চিকিৎসা নিয়ে সার্জারি করার পর সেটা না শুকাতেই অনেকে দেশে ফেরেন।

এতে ইনফেকশন হয়। অনেকে বাইরে থেকে কেমোর ওষুধ নিয়ে আসেন। কিন্তু কেমোর ওষুধ ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তার গুণগত মান নষ্ট হয়। এ সব কারে আজকাল অনেকেই দেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সবচেয়ে বড় কথা এখানে চিকিৎসা খরচ অনেক কম।

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্স অব হসপিটাল (এনআইসিআরএইচ)”-এর মেডিকেল অনকোলজির সাবেক অধ্যাপক ডা. পারভীন শাহিদা আখতার বলেন, “ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে যে কোনো ক্যান্সারের ভালো চিকিৎসা রয়েছে। এ হাসপাতালে খরচ খুবই কম। সরকার পর্যাপ্ত ওষুধপত্র কেনেন। এখানে কেমো থেরাপির ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়। বেডের ভাড়া কম এবং অন্যান্য পরীক্ষাগুলো নামমাত্র মূল্যে করানো হয়।”

তিনি আরো বলেন, “২০ বছর বয়স থেকে নিয়ম মাফিক ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করালে এ ক্যান্সার জটিল আকার ধারণ করবে না। তবে ৪০-৫০ বছর বয়স্ক নারীরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকেন। কাজেই এ সময়টা অবশ্যই ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করিয়ে নেয়া উচিত।”

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং সেন্টার-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. আশরাফুন নেসা বলেন, “আমরা এখানে বিনামূল্যে ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করে থাকি। প্রতিদিন এ সেন্টারে প্রায় ১ শত জনের ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করা হয়। বাড়িতে নিজে কীভাবে এ পরীক্ষা করবেন সেটাও শিখিয়ে দেয়া হয়।”

তিনি আরো বলেন, “সারা দেশে আমাদের ৪৬৪টি সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ২৭১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে এবং বাকিগুলো জেলা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল এবং মাতৃসদনে রয়েছে। এসব হাসপাতালে একইভাবে বিনামূল্যে ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করা হয়। ২০০৫ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত আমরা ২২ লাখ ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করেছি। এর মধ্যে ৩৫ হাজাররের মতো পজিটিভ পেয়েছি।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. সাদিয়া আফরিন তানি বলেন, “এখানে প্রতিদিন ৬০-৭০ জনের ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করা হয়। কেউ পজেটিভ হলে তাকে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। সরকার নির্ধারিত স্বল্প মূল্যে পরীক্ষাগুলো করা হয়। রেডিও থেরাপি ও কেমো থেরাপিও খুবই কম মূল্যে দেয়া হয়। অপারেশন বিনা মূল্যে করা হয়। এখানে চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ্য হয়েছেন এবং ভালো আছেন। সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে একইভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সারের স্ক্রিনিং এবং কম মূল্যে চিকিৎসা রয়েছে।”

ইংল্যান্ডের সরকারি হাসপাতালে “স্পেশালিস্ট কনসালটেন্ড অব ব্রেস্ট ক্যান্সার” পদে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. তাসমিয়া তাহমিদ প্রত্যেক মাসে লালমাটিয়ায় ঢাকা নবজাতক শিশু হাসপাতালের “তাসমিয়া তাহমিদ ব্রেস্ট ক্যান্সার সেন্টার”-এ প্রত্যেক মাসে ৭ দিন রোগী দেখেন। তিনি বলেন, “এটা নির্মূলযোগ্য রোগ। শুরুতে ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা হলে শতভাগই ভালো হয়ে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “ইংল্যান্ডের মতো মান সম্পন্ন ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা এখানে হয়। কম মূল্যে চিকিৎসা করছি। চিকিৎসার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৭-৮ মাসে ৫-৬ লাখ টাকা খরচ হয়। ইংল্যান্ড বা অন্য কোনো উন্নত দেশে এ মানের চিকিৎসা (অন্যান্য খরচ ছাড়া শুধুমাত্র চিকিৎসা যেমন- সার্জারি, থেরাপি ও অন্যান্য পরীক্ষা ) পেতে দশগুণ খরচ হয়। অর্থনৈতিকভাবে যারা দুর্বল তাদের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা, কনসালটেশন ফি ইত্যাদি কম নেয়া হয়।”

বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে প্রত্যেক মাসে পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরদিন নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করা প্রয়োজন। চল্লিশ বছরের কম বয়সীদের বছরে একবার এবং চল্লিশোর্ধদের বছরে দুইবার চিকিসকের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাহলে সহজেই এ ক্যান্সারের ঝুঁকি রুখে দেয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন: মাথা ব্যথার ১০ টি ঔষধের নামের তালিকা

আরো পড়ুনঃ কাশির ১০ টি ঔষধের নাম ও দাম জেনে নিন

আরো পড়ুনঃ  ঘুমের ঔষধের নাম ও ছবি দেখে নিন

আরও পড়ুন: সর্দির ১০ টি ভালো ঔষধ নাম

আরো পড়ুনঃ ১০ টি কৃর্মির ঔষধের নাম ও দাম

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ঔষধের নাম ও দাম

আরো পড়ুনঃ  সাহাবিদের নামের তালিকা জেনে নিন

আরও পড়ুন: লিংগ মোটা করার উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *