ভালোবাসা কাকে বলে

ভালোবাসা কাকে বলে

জানবো বিডি ডট নেট এর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ভালোবাসা কাকে বলে, ভালোবাসা কাকে বলে sms, ভালোবাসা কাকে বলে ছবি , ভালোবাসা কাকে বলে ও কি কি, ভালোবাসা কাকে বলে কবিতা, ভালোবাসা কাকে বলা হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানব।

আমাদের www.gazivai.comওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করুন। সবথেকে কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট করুনwww.gazivai.com

ভালোবাসা কাকে বলে

  • ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা।বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়।
  • বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায় না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা,বাড়িতে কোনো পোষ্য প্রাণীর বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে এমন কি কোনো কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।
  • ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক, অনুমান, এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন।
  • তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে।
  • কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
  • ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্মক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেওয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা অপেক্ষাকৃত গৌণ বিষয়।
  • এখানে মানবিক আবেগটাই বেশি গুরুত্ব বহন করে। কল্পনাবিলাসিতার একটি বিশেষ ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অভিহিত করা যায়।

ভালোবাসা কাকে বলে sms

যৌনতার জৈবিক মডেলকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি ড্রাইভ অর্থাৎ তাড়না হিসাবে মনে করা হয় যা অত্যধিক ক্ষুধা বা তৃষ্ণার মতো। হেলেন ফিশার প্রেম বিষয়ে একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ। প্রেমের অভিজ্ঞতাকে তিনি তিনটি আংশিক ওভারল্যাপিং পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন: উদাহরণস্বরূপ, লালসা, আকর্ষণ, এবং সংযুক্তি। কামনা হল যৌন বাসনা পূরণ করার জন্য এক ধরনের অনুভূতি।

ভালোবাসা কাকে বলে
ভালোবাসা কাকে বলে

সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

রোমান্টিক আকর্ষণ মূলত নির্ধারণ করে কোন ব্যক্তির সঙ্গী কতটা আকর্ষণীয় তার উপর। তাছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে, যেমন, একই সাথে একটি বাড়িতে অবস্থান করা, পিতামাতার প্রতি কর্তব্য, পারস্পরিক প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনুভূতিগুলিও জড়িত থাকে। এই তিনটি রোমান্টিক শৈলীগুলির সাথে নিউরাল সার্কিটগুলি, নিউরোট্রান্সমিটার এবং তিনটি আচরণগত নিদর্শন সংযুক্ত সব সময় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

কামনা হল যৌন বাসনার প্রাথমিক ধাপ যা টেসটোসটাইন এবং এস্ট্রোজেনের মতো রাসায়নিক পদার্থ বর্ধিত ত্যাগ করে। এর প্রভাব কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আকর্ষণ আরও individualized এবং রোমান্টিক হয় একটি নির্দিষ্ট সঙ্গীর জন্য, যার মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র লালসা বিকশিত হয়।

স্নায়ুবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষ মূলত প্রেমে পড়ে যখন তার মস্তিষ্ক নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সেটের রাসায়নিক পদার্থ ত্যাগ করে। উদাহরণস্বরূপ, নিউরোট্রান্সমিটার হরমোন, ডোপামিন, নোরপাইনফ্রাইন, এবং সেরোটোনিন এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।

amphetamine একি ধরনের পদার্থ ত্যাগ করে যার ফলে মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, হার্টের কম্পনের হার বৃদ্ধি পায়, ক্ষুধা এবং ঘুম হ্রাস পায়, এবং উত্তেজনা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই পর্যায় সাধারণত দেড় থেকে তিন বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

ভালোবাসা কাকে বলে
ভালোবাসা কাকে বলে

সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

ভালোবাসা কাকে বলে ছবি

যেহেতু কামনা এবং আকর্ষণ এর পর্যায়গুলিকে অস্থায়ী বলে মনে করা হয়, তাই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য একটি তৃতীয় পর্যায় প্রয়োজন। সংযুক্তি হল এক ধরনের বন্ধন যার কারণে সম্পর্ক অনেক বছর এমনকি কয়েক দশক পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সংযুক্তি সাধারণভাবে বিবাহ বা শিশু জন্মদান করার মত অঙ্গীকারগুলির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।

আরো পড়ুনঃ কেডস জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ লোফার জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর ডেটক্সি স্লিম কেনার জন্য ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ব্রণের দাগ, কালো দাগ, কাটা দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের নাইট ড্রেস সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ৩০,৩২,৩৪, সাইজের স্পোর্টস ব্রা কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ৩০,৩২,৩৪, সাইজের ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ৩০,৩২,৩৪, ফোম কাপ ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ  ৩০,৩২,৩৪, সুতি স্পোর্টস ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক  – এখনই কিনুন

তাছাড়া পারস্পরিক বন্ধুত্ব বা পছন্দের বিষয়গুলি ভাগ করে নেয়ার কারণেও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে স্বল্পমেয়াদী সম্পর্কের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ক্ষেত্র বেশি পরিমাণে রাসায়নিক অক্সিটোসিন এবং ভাসপ্রেসিন নির্গত হয়।

এনজো ইমানুয়েল এবং তার সহকর্মীরা রিপোর্ট করেন যে প্রোস্টেট অণুটি স্নায়ু বৃদ্ধিকারক ফ্যাক্টর (এনজিএফ) নামে পরিচিত, যখন লোকেরা প্রথম প্রেমে পড়ে তখন তার মাত্রা অনেক বেশি থাকে, কিন্তু এক বছর পর তারা আবার পূর্ববর্তী স্তরে ফিরে আসে।

বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান ভালবাসাকে টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে দেখায়। মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী তাদের জীবনকালের দীর্ঘ সময় পিতামাতার সাহায্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। এই সময়ে ভালবাসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভালোবাসা কিভাবে মানব বিবর্তনের দ্বারা গড়ে উঠেছে এর উপর ভিত্তি করে ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা এবং আচরণ নিয়ে আরও গবেষণা করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন:  রিয়েলমি 7i বাংলাদেশ প্রাইস,Realme 7i Price in Bangladesh

আরও পড়ুন: চেহারা সুন্দর করার দোয়া

আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া টু বাংলাদেশ বিমান ভাড়া কত

আরও পড়ুন: কাশির ঔষধ ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ.

আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ

ভালোবাসা কাকে বলে ও কি কি

ভালবাসা কাকে বলে তা সহজভাবে বুঝাতে গেলে বলতে হয় প্রেম এবং ভালবাসার মাঝে পারথক্য কি। প্রেম হচ্ছে, ধরুন আপনি বাগানে হাটছেন আর একটা গাছে ফুটন্ত গোলাপ দেখলেন। আপনি বাগান থেকে ফুলটা ছিড়ে নিজের রুমে এনে গ্লাসের পানিতে সংরক্ষণ করলেন। 

আর আপনি বাগানে হাটছেন আর একটা গাছে ফুটন্ত গোলাপ দেখলেন। ফুলটা ছিরলে তা সৌন্দর্য হারাবে এই ভেবে ফুলটি না ছিরে প্রতিদিন অই গাছে পানি দেয়ার নাম হচ্ছে ভালবাসা।

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা।

বিভিন্ন বিষয়ের  উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হতে পারে:

  • অ-ভালোবাসা (non-love): এর দ্বারা ভালোবাসার তিনটি অংশের কোনটাই থাকে না, এখানে কোন সংযুক্তি থাকে না, সম্পর্কও থাকে না।
  • পছন্দ/বন্ধুত্ব (liking/friendship): এই ধরনের সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা থাকে, কিন্তু আগ্রহ ও প্রতিশ্রুতি থাকে না। বন্ধুত্ব এবং পরিচিতদের (acquaintance) সাথে সম্পর্ক এরকম হয়।
  • মোহাবিষ্ট ভালোবাসা (infatuated love):মোহাবিষ্ট ভালোবাসা হচ্ছে সেই ভালোবাসা যেখানে আগ্রহ (passion) থাকে, কিন্তু অন্তরঙ্গতা বা প্রতিশ্রুতি থাকে না। একে “পাপি লাভ”-ও বলা হয় যার অর্থ হচ্ছে, সেই সম্পর্ক যা এখনও পর্যন্ত আন্তরিক (serious) হয় নি। প্রেমপূর্ণ সম্পর্ক প্রায়ই মোহাবিষ্ট ভালোবাসার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং এরপর সময়ের সাথে সাথে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তা প্রেমপূর্ণ ভালোবাসায় (romantic love) পরিণত হতে শুরু করে। অন্তরঙ্গতা এবং প্রতিশ্রুতি তৈরি না হলে মোহাবিষ্ট ভালোবাসা হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যেতে পারে।
  • শূন্য ভালোবাসা (empty love): শূন্য ভালোবাসা তখনই হয় যখন সম্পর্কে কেবল প্রতিশ্রুতি থাকে, কিন্তু কোন আগ্রহ বা অন্তরঙ্গতা না থাকে। একটি শক্তিশালী ভালোবাসা ক্ষয় হতে হতে শূন্য ভালোবাসায় পরিণত হতে পারে। একটি ব্যবস্থাপিত বিবাহে (arranged marriage) স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শূন্য ভালোবাসার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, এবং এরপর এটি অন্য আকার ধারণ করা শুরু করে।
  • প্রেমপূর্ণ ভালোবাসা (romantic love): এই ভালোবাসায় আগ্রহ এবং অন্তরঙ্গতা থাকে, কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতি থাকে না। রোমান্টিক সম্পর্ক বা ওয়ান-নাইট স্ট্যান্ডের বেলায় এরকমটা দেখা যায়।
  • দরদী ভালোবাসা (compassionate love): এই ভালোবাসা অন্তরঙ্গতাপূর্ণ, অ-আগ্রহপূর্ণ ধরনের হয়, কিন্তু বন্ধুত্বের চেয়ে শক্তিশালী হয়, কারণ এখানে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি জড়িত থাকে। “এধরণের ভালোবাসা দীর্ঘমেয়াদী বৈবাহিক সম্পর্কে পাওয়া যায় যেখানে আগ্রহ (passion) আর উপস্থিত থাকে না”
  • জড়ধী ভালোবাসা (fatuous love): হুট করে হওয়া ভালোবাসা বা বিবাহে এটা দেখা যায়। এখানে আগ্রহ থাকে, প্রতিশ্রুতি থাকে কিন্তু অন্তরঙ্গতা থাকে না। যেমন: “প্রথম দেখায় ভালোবাসা”।
  • সুসম্পূর্ণ ভালোবাসা (consummate love): এটি ভালোবাসার একটি সম্পূর্ণা আকার, এবং এটি আদর্শ ভালোবাসাকে প্রতিনিধিত্ব করে। স্টার্নবার্গের মতে, এরকম ভালোবাসা যে জুটির মধ্যে থাকে তারা ১৫ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে অনেক ভাল যৌনতা উপভোগ করেন। তারা অন্য কারও সাথে দীর্ঘমেয়াদে ভাল সম্পর্কের কথা ভাবতে পারেন না, সম্পর্কে কোন বাঁধা-বিপত্তি আসলে তারা খুব ভালভাবে সেগুলো কাটিয়ে ওঠেন, এবং তারা একে অপরকে নিয়ে খুশি থাকেন।

ভালোবাসা কাকে বলে কবিতা

ভালোবাসা হচ্ছে মনের অনুভূতির বহিঃ প্রকাশ এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি দুর্বলতা।বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। যেমন আপনার পছন্দের মানুষের জন্য আপনার যে অনুভূতি কাজ করবে, ঠিক সে অনুভূতি টা অপরিচিত কারো ক্ষেত্রে কাজ করবে না। 

পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজারো মানুষ। মানুষগুলো একে ওপরের সাথে নির্দিষ্ট গন্ডিতে ,নির্দিষ্ট প্রান্ততে ,নির্দিষ্ট দেশে বসবাস করে পরস্পরের সাথে। এই বিশাল জনগোষ্ঠী নিজ গন্ডিতে ,নিজ দেশে পরস্পরের সাথে বসবাস করে এক টানে, এক অদৃশ্য সম্পর্কের টানে।

সেই অজানা সম্পর্কের জোরে তারা পরস্পরের সাথে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিকে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আর সেই অদৃশ্য সম্পর্কের নাম হলো ভালোবাসা।আমাদের এই পৃথিবীর মানুষ বড়োই অদ্ভুদ। অদ্ভুদ এই পৃথিবীতে মানুষ পরস্পরের সাথে মিলেমিশে বসবাস করে।

দেশ থেকে দেশান্তরে মানুষগুলো পরস্পরের সাথে একটি বন্ধনে, আপন অস্তিত্বের টানে, নিজেদের এক অজানা, অদ্ভুদ সম্পর্কের বেড়াজালে আটকে থাকে। সেই সম্পর্কের কারণে তারা পরস্পরের সাথে মিলেমিশে থাকে। সম্পর্কের মাঝে তিক্ততা থাকে, সম্পর্কে মাঝে টানাপোড়ন থাকে, কিন্তু তাই বলে আপনজনের সাথে, প্রিয় মানুষের সাথে সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে কখনো মানুষ সুখী হতে পারে না।

এই পৃথিবীর একটি মধুর এবং প্রজ্বলমান সম্পর্কের নাম ভালোবাসা। কারণ এই সম্পর্কে থাকে না কোন ধরেনর অপ্রাপ্তির ছায়া। মান ,অভিমান থাকে,আক্ষেপ থাকে কিন্তু ভালোবাসার থেকে দুরুত্ব কখনো থাকে না। ভালোবাসা এক ধরণের টান ,এক ধরণের আবেগ।

যা দুরুত্বকে ঘুচিয়ে দিতে সক্ষম ,দুরুত্বকে মিটিয়ে দিতে সক্ষম। ভালোবাসা এক ধরণের আবেগ যা দেশ থেকে দেশান্তরের মধ্যে মানুষের মধ্যে সম্পর্কের এক অটুট বন্ধন স্থাপন করে। তাই ভালোবাসা টিকে থাকে যুগে যুগে ,কালে কালে। সময়ের স্রোতে।

  • আমি যদি বৃষ্টি হতাম
  • স্পর্শ করতাম তোমার অন্তরকে,
  • ধুয়ে দিতাম বিষাদকে
  • মেঘলা বরণ অঙ্গ জুড়ে
  • তুমি আমায় জড়িয়ে নিতে।
  • কষ্ট আর পারতাে নাকো
  • কষ্ট দিতে।
  • ভালােবাসা মানে এক মুঠো রােদ
  • বসন্তের ঐ হাওয়া
  • ভালােবাসা মানে মনের সাগরে
  • স্বপ্নের তরী বাওয়া।
  • ভালােবাসা মানে শিশির ভেজা
  • সবুজ ঘাসের জমি ,
  • ভালােবাসা মানে সব সীমা ছারিয়ে
  • শুধু তুমি আর আমি।

ভালোবাসা কাকে বলা হয়

ভালোবাসা কখনো শুধুমাত্র নর নারীর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বুঝায় না।ভালোবাসা আমাদের ভালো থাকার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে সাহায্য করে।ভালোবাসা হতে হয় উদার।ভালোবাসা হল মহৎ একটি সম্পর্কের নাম।দুইজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক শুধুমাত্র ভালোবাসা নয়।

আমাদের পরিবারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের নাম হল ভালোবাসা।আমাদের পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে,আত্নীয় স্বজন,ভাইবোন সকলের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের নাম হল ভালোবাসা।

কিন্তু তাই বলে ভালোবাসা সংজ্ঞা একেক ক্ষেত্রে একেক রকম তা কিন্তু নয়।ভালোবাসার সংজ্ঞা সকলের ক্ষেত্রেই একেক রকম। নিঃস্বার্থভাবে কোন ব্যক্তিকে ভালো রাখার জন্য,সকল ধরনের ভালো রাখার জন্য সকল সম্ভাব্য সকল কিছু করা,অপর ব্যক্তির খেয়াল রাখা, খেয়াল রাখার মধ্যে দিয়ে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দেওয়া,প্রিয়জনদের কথা ভেবে সবটুকু বিলিয়ে দেওয়ার নাম হল ভালোবাসা।

আমাদের চারপাশে সকলের আমরা নানান ধরণের, নানান জাতের, নানান বর্ণের লোক দেখতে পাই। এই মানুষগুলো একে অপরের সাথে একটি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের মধ্যে নেই কোন ধরণের হিংসা, নেই কোন হানাহানি, নেই কোন বর্ণবাদ।তারা সকলে যে বন্ধনে আবদ্ধ তার নাম হল ভালোবাসা।

আমাদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের প্রতি যেমন আমাদের দায়িত্ব থাকে।ঠিক তেমনি করে এই দেশের প্রতি,দেশের মানুষের প্রতি আমাদের রয়েছে একটি টান এবং আবেগের সুসম্পর্ক। সেই আবেগ এবং আমাদের হ্রদয়ের অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিদ্যমান সম্পর্কের নাম হল ভালোবাসা।

ভালোবাসা এমন একটি সম্পর্ক যা জাত, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সকল কিছুর উর্ধে বিদ্যমান থাকে। প্রিয়জনের কথা চিন্তা করে,প্রিয়জনের সুখের কথা চিন্তা করে মানুষ নিজের সকল সুখ বিসর্জন দিতে পারে শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে।

ভালোবাসা ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয়,আপনাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়। ভালোবাসার মধ্যে থাকে না কোন ধরনের ভেদাভেদ,থাকে না কোন ধরণের চাওয়া পাওয়া। ভালোবাসা অন্তরের অন্তস্থলের মধ্যে বিদ্যমান এক সম্পর্কের নাম।

আমাদের আর্টিকেল বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে তা নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে অথবা আমাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে পারেন আমাদের আর্টিকেল রাইটিং টিম আপনার অভিযোগ বা পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *