শবে কদরের নামাজের নিয়ম

শবে কদরের নামাজের নিয়ম । শবে কদরের ফজিলত

শবে কদরের নামাজের নিয়ম
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে জানাবো শবে কদরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়া আরো জানাবো শবে কদর নামাজের নিয়ম? শবে কদর নামাজের নিয়ত? শবে কদরের দোয়া? শবে কদরের ফজিলত?

আরও পড়ুনঃ শবে কদরের দোয়া

শবে কদরের ফজিলত

শবে কদর ইত্যাদি সম্পর্কে শবে কদরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে হলে নিচের সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন এছাড়াও যেকোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট করুন Gazivai.com

শবে কদরের নামাজের নিয়ম


পাঠক বন্ধুগণ শবে কদর নামাজের বিশেষ কোন নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। শবে কদরের রাতে দুই রাকাত করে যতো খুশি ততো রাকাত নামাজ পড়া যায়। তবে বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে যাতে নামাজ বেশি সুন্দর করে মনোযোগ সহকারে পড়া যায় ততোই ভালো।

লাইলাতুল কদরের দোয়া

আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার কোরিয়ান হোয়াইটিং ক্রিম কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন

আল্লাহ সুবহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি খুশু-খুজুসহকারে নামাজ আদায় করা যায় ততই ভালো। এছাড়াও লোকমুখে প্রচলিত যে বিশেষ সূরা রয়েছে এর কোনো ভিত্তি নেই। আপনি যে কোন সূরা দিয়ে পড়তে পারবেন। সাধারণ নামাজের নিয়মে আলহামদু সূরার পর কোন সূরা মিলিয়ে যতো খুশি ততো রাকাত নামাজ পড়তে পারবেন দুই রাকাত করে।

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

শবে কদরের রাতের যত বেশি নফল নামাজ পড়া যায় ততবেশি সওয়াব পাওয়া যায়। প্রচলিত রয়েছে নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস, সূরা কদর, আয়াতুল কুরসি, সুরা তাকাসুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক উত্তম এইভাবে কমপক্ষে 12 রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম তবে এর সঠিক কোন ভিত্তি নেই। এছাড়াও সালাতুত তাওবা সালাতুল হাজত সালাতুল তাজবি নামাজ পড়তে পারে পাশাপাশি রাতের শেষভাগে কমপক্ষে 8 রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার অবশ্যই চেষ্টা করিবেন।

শবে কদর । লাইলাতুল কদর

শবে কদরের রাত সর্বোত্তম মর্যাদাপূর্ণ রাত। আল্লাহ-তায়লা শবে কদরের রাত কে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম করেছেন। শবে কদরের রাতের ইবাদত বন্দেগী হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক। মুসলিম উম্মাহর জন্য শবে কদরের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকতময় মহামান্বিত। কুরআনুল কারীমের সূরা কদর নামে একটি সূরা নাযিল হয়েছে শবে কদর কে ঘিরে। তাতে স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাযিল করেছি কদর (মর্যাদাপূর্ণ) রজনীতে। শবে কদরের রাতে ফেরেশতাগণ হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এর সাথে সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন। শবে কদরের রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সর্বপ্রথম কুরআনুল কারীম নাযিল হয়।

শবে কদর নামাজের নিয়ম । লাইলাতু কদর নামাজের নিয়ম


শবে কদর নামাজের কোনো নির্দিষ্ট ল নিয়ম নেই আপনারা সাধারণ নামাজের নিয়মে দুই রাকাত করে মনোযোগ সহকারে সহীহ শুদ্ধ ভাবে যত খুশি ততো নামাজ পড়তে পারেন।

শবে কদরের আমল । লাইলাতুল কদরের আমল


শবে কদর অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বরকতময় রাত। শবে কদরের রাতে যে যত বেশী আমল করতে পারে। আমলের মাধ্যম গুলো হলো *নফল নামাজ আদায় করা
*বেশি বেশি দুআ ইস্তিগফার পাঠ করা
*কুরআন তিলাওয়াত করা
*বেশী বেশী দরুদ শরীফ পাঠ করা
*নিজের সামর্থ্য অনুসারে বেশি বেশি দান সদকা করা
*কুরআনুল কারীমের বিশেষ কিছু সূরা রয়েছে সেই সুরগুলো বেশি বেশি পাঠ করা যেমন- সূরা আল কদর, সূরা আর রহমান, সূরা ইয়াসিন, সূরা আল-মুদ্দাসসির, সূরা ত্ব-হা, সূরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক ইত্যাদি।
*তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া
*অতীতের সকল পাপ কাজ এবং ধারণা আল্লাহর তাআলার নিকট ক্ষমা চাওয়া
*মহান আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও গ্রহণ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা – – সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আস্তাগফিরুল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম পাঠ করা।

আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবের ১ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা

আরও পড়ুনঃ ওমান ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

শবে কদরের আলামত


শবে কদরের রাতের কিছু আলামত রয়েছে।

  • রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলাম বলছেন “লাইলাতুল কদরের রাত উজ্জ্বল হয় এছাড়াও অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে এই রাত নাতিশীতোষ্ণ থাকে অর্থাৎ এই রাতে না ঠান্ডা না গরম থাকে”।
  • রাসুল(সাঃ) বলেছেন শবে কদরের রাত প্রভাতের সূর্য ওপরে না উঠা পর্যন্ত অটল থাকবে।
  • লাইলাতুল কদরের রাতে শবে কদরের রাতে উল্কা ছুটে না।( মুসনাদ আহমেদ, ত্বাবারানী, ইবনে খুযাইমাহ)
  • ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে রাসূল (সা)বলেছেন লাইলাতুল কদরের রাত্রি হলো প্রশান্ত এবং আনন্দময়, না গরম না ঠাণ্ডা এবং ভোরের সূর্য উদিত হয় দুর্বল ও লাল হয়ে। (ইবনে খুযাইমাহ)
  • হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত রাসূল (সা.)এর উপস্থিতিতে লাইলাতুল কদরের আলোচনা করেছিলাম তখন বলেন তোমাদের মধ্যে কে মনে করতে পারো যে দিন চাদ অর্ধ থালার মত উঠেছিল। (মুসলিম)

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত


নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আলা রাকা’-আত আই সালা-তিল লাইলাতুল কদর- নাফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারিফাতি আল্লা-হু আকবর
অর্থঃ- আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ এর উদ্দেশ্যে শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম – আল্লাহু আকবার

আরও পড়ুনঃ সাহিল নামের অর্থ কি

আরও পড়ুনঃ তাসরিফ নামের অর্থ কি

লাইলাতুল কদরের দোয়া

লাইলাতুল কদর এর জন্য একটা দুআ রয়েছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়াটি লাইলাতুলকদর এর রাতে বেশি বেশি পড়তে বলেছেন।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা যদি আমি জানতে পারি, তাহলে আমি কোন দোয়াটি পড়বো?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

লাইলাতুল কদরের ফজিলত । শবে কদরের ফজিলত


শবে কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ দশদিনের বেজোড় রাত গুলোর মধ্যে রয়েছে শবে কদরের রাত। শবে কদরের রাতকে মর্যাদাপূর্ণ এবং ভাগ্য রজনী রাত বলা হয়। এই রাতের ফজিলত অন্যান্য সকল রাতের তুলনায় অনেক বেশি।
কেননা এই শবে কদরের রাতে ইসলাম ধর্মের মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নাযিল হয়েছে।

তাছাড়া রমজান মাস সকল মাসের চেয়েও উত্তম একটি মাস। যে ব্যক্তি শবে কদরের রাত বিনিদ্র রজনী কাটাবে সবর করবে, এর মধ্যে খুঁজে পাবে সম্মানিত রাত পাবে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ফেরেশতার অদৃশ্য মুলাকাতে শিক্ত হবে তার হৃদয় আপন রবের ভালোবাসায় সে উদ্ধারে তো এজন্য দির্ঘ বিরহের পর আপনজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ।

আরও পড়ুনঃ হাবিবা নামের অর্থ কি

আরও পড়ুনঃ কুলসুম নামের অর্থ কি

শবে কদরের রাতে আল্লাহতালার অবারিত রহমত ও করুণা বর্ষিত হয়। নবীজী বলেন যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় লাইলাতুল কদরের রাত ইবাদত বন্দেগী করবে তার পূর্বের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারি হাদিস শরীফ)
কদরের রাতে লায়লা কাটিয়ে কদরের রাতের কদর করা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *