Description
শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প । বাস্তব জীবন নিয়ে গল্প
একজন কৃতজ্ঞ কুকুরের গল্প
ভূমিকা:
শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প । এক ছোট্ট গ্রামে মীনা নামের এক বৃদ্ধা মহিলা একা থাকতেন। তার সঙ্গী ছিল শুধু টিঙ্কু নামের একটি কুকুর। টিঙ্কু ছিল মীনার খুব প্রিয়, আর মীনাও টিঙ্কুর যত্ন নিতেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে।
শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প
ঘটনার সূচনা:
একদিন বাজার থেকে ফেরার সময় মীনা পড়ে গেলেন এবং তার পা ভেঙে গেল। তীব্র ব্যথায় তিনি অচেতন হয়ে গেলেন। টিঙ্কু মীনার পাশে বসে ডাকতে লাগলো, কিন্তু কেউ তার ডাক শুনতে পেল না।
কুকুরের সাহসিকতা:
বেলা অনেক রাত হয়ে গেলেও টিঙ্কু মীনার পাশে ছেড়ে গেল না। সে বারবার মীনার মুখ চাটতে লাগলো।
হঠাৎ টিঙ্কুর চোখে পড়লো একটা রিক্সা। টিঙ্কু দ্রুত রিক্সার সামনে এসে দাঁড়ালো এবং ডাকতে লাগলো। রিক্সাচালক টিঙ্কুর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে থামলো। টিঙ্কু রিক্সাচালককে মীনার কাছে নিয়ে গেলো।
সাহায্য আসা:
রিক্সাচালক মীনাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। ডাক্তার মীনার পা ভেঙে যাওয়ার কথা জানতে পেরে দ্রুত অস্ত্রোপচার করলেন।
কৃতজ্ঞতা:
মীনা সুস্থ হয়ে ওঠার পর টিঙ্কুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। টিঙ্কুর সাহস ও বুদ্ধিমত্তার জন্য মীনার জীবন রক্ষা পেয়েছিল।
- মীনা যখন পড়ে গেলেন, তখন টিঙ্কু তার পাশে বসে ডাকতে লাগলো। সে বারবার মীনার মুখ চাটতে লাগলো, যেন তাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।
- টিঙ্কু রিক্সাচালককে মীনার কাছে নিয়ে গেলো। সে রিক্সার সামনে দাঁড়িয়ে ডাকতে লাগলো, এবং রিক্সাচালক থামার পর তাকে মীনার কাছে নিয়ে গেলো।
- মীনা হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠার পর টিঙ্কুকে জড়িয়ে ধরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। সে টিঙ্কুকে তার প্রাণের বন্ধু বলে ডাকতে লাগলেন।
বিবরণ:
- মীনা ছিলেন একজন ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলা। তিনি ছিলেন দীর্ঘদেহী এবং চোখে চশমা পরতেন।
- টিঙ্কু ছিল ৫ বছর বয়সী একটি সাদা-বাদামী রঙের কুকুর। সে ছিল খুবই চঞ্চল এবং মীনার প্রতি অনুগত।
- ঝিনুক গ্রামটি ছিল ছোট্ট এবং গ্রামবাসীরা একে অপরের খুব পরিচিত ছিল।
শিক্ষা:
এই গল্প থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, প্রাণীও কতটা কৃতজ্ঞ হতে পারে। আমাদের উচিত প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের যত্ন নেওয়া।
অতিরিক্ত:
এই গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কঠিন সময়ে আমাদের বন্ধুরা ও পরিবারের সাহায্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
পড়ুনঃ লুব্রিকেন্ট জেল কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
বাস্তব জীবন নিয়ে গল্প
নাম: ঝড়ের পরে
চরিত্র:
- নীলা: একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য, স্কুল শিক্ষিকা
- রহিম: নীলার স্বামী, একজন দিনমজুর
- দীপ: নীলা ও রহিমের সন্তান, ৫ বছর বয়সী
ঘটনা:
ঝড়ো বাতাসে তীব্র বৃষ্টি। নীলা ঘরের ভেতরে দীপকে কোলে নিয়ে বসে আছে। রহিম বাইরে ঝড়ের মুখোমুখি হয়ে ঘরের ছাদ ঠিক করার চেষ্টা করছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে। নীলার মনে দুশ্চিন্তার ঝড় উঠেছে।
হঠাৎ, ঝড়ের তীব্র ঝাপটায় ঘরের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। নীলা দীপকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে ওঠে। রহিম ছুটে এসে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে।
ঝড় থেমে গেলে, তারা বাইরে বেরিয়ে দেখে, তাদের ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। আশেপাশের অনেক ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নীলা হতাশায় ভেঙে পড়ে। রহিম তাকে সান্ত্বনা দেয় এবং বলে, “হতাশ হবে না। আমরা একসাথে সব ঠিক করে ফেলব।”
পরিবারটি আশেপাশের মানুষদের সাহায্যে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের জিনিসপত্র উদ্ধার করে।
পরের দিন, স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। নীলা ও রহিম ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পায়।
তারা স্থানীয়দের সাহায্যে ভাঙা ঘরের জায়গায় একটি ছোট্ট ঘর তৈরি করে।
কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নীলা ও রহিম হাল ছাড়ে না। তারা আশাবাদী যে, তারা একসাথে সব বাধা অতিক্রম করে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারবে।
শেষকথা:
বাস্তব জীবনে অনেক ঝড়ো সময় আসে। কিন্তু হতাশ হয়ে হাল ছাড়লে চলবে না। সাহস ও আশাবাদের সাথে লড়াই করলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
বাস্তব জীবন নিয়ে গল্প
নাম: রিকশাওয়ালার স্বপ্ন
চরিত্র:
- আব্দুল: একজন রিকশাচালক
- রুমা: আব্দুলের স্ত্রী
- রিপন: আব্দুল ও রুমার ছেলে, স্কুলছাত্র
ঘটনা:
আব্দুল ভোর থেকে রাত পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করে। তার স্ত্রী রুমা একজন গৃহকর্মী। তাদের একমাত্র ছেলে রিপন স্কুলে পড়ে।
আব্দুলের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন একটি নিজস্ব রিকশা কেনার। কিন্তু রিকশার দাম বেশি, তাই সে টাকা জমানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করে।
একদিন রিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল এক বৃদ্ধ মহিলাকে রাস্তার পাশে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
বৃদ্ধা মহিলা আব্দুলের সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞ হন এবং তাকে একটি রিকশা উপহার দেন। আব্দুল অত্যন্ত আনন্দিত হয়।
এখন আব্দুল নিজের রিকশা চালিয়ে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারে। রিপন ভালো স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে। রুমাও স্বামীর সাফল্য দেখে খুশি।
শেষকথা:
বাস্তব জীবনে অনেক মানুষ স্বপ্ন দেখে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং সৎ কর্মের বিকল্প নেই। আব্দুল তার পরিশ্রম ও সৎ কর্মের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এই গল্পের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা পাই যে:
- স্বপ্ন দেখা ভালো, কিন্তু স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম করা আবশ্যক।
- সৎ কর্মের মাধ্যমে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
- অন্যের প্রতি সাহায্য করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
Reviews
There are no reviews yet.