ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

জানবো বিডি ডট নেট এর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম, ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর কাজ কি, ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর নাম, ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত, ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে কি হয়, ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা, ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর অপকারিতা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানব।

আমাদের www.gazivai.comওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করুন। সবথেকে কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট

করুনwww.gazivai.com

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি নাইন বা ভিটামিন বি অথবা ফোলেট নামে মানবদেহে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এর রূপভেদ (যা টেরইল-এল-গ্লুটামিক অ্যাসিড, টেরইল এল-গ্লুটামেট এবং টেরইলমনোগ্লুটামিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত) হলো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি নাইন এর রূপ। ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

ফলিক অ্যাসিড নিজে জৈবিকভাবে বিক্রিয়াশীল না হলেও মানবদেহের যকৃতে ডাইহাইড্রোফলিক অ্যাসিড হতে এর রূপান্তরের ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম পরে টেট্রাহাইড্রোফোলেট এবং অন্যান্য উপজাতের কারণে এটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

ফলিক অ্যাসিড দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যসম্পাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটি ডিএনএ গঠন বা সিন্থেসাইজেশন, কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে। ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

এটি ক্রমাগত কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই গর্ভাবস্থায় এবং নবজাতকদের জন্য ফলিক অ্যাসিড জরুরী। লোহিত রক্তকণিকা তৈরীর কাজে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে এই ভিটামিন শিশু ও পূর্ণ বয়স্ক উভয়েরই প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ কেডস জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ লোফার জুতা কিনতে সরাসরি ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর ডেটক্সি স্লিম কেনার জন্য ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ব্রণের দাগ, কালো দাগ, কাটা দাগ দূর করার ক্রিম সরাসরি – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের নাইট ড্রেস সরাসরি কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ ৩০,৩২,৩৪, সাইজের স্পোর্টস ব্রা কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ৩০,৩২,৩৪, সাইজের ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ৩০,৩২,৩৪, ফোম কাপ ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ  ৩০,৩২,৩৪, সুতি স্পোর্টস ব্রা সরাসরি কিনতে ক্লিক  – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ দারাজে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত জাঙ্গিয়া  কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

ফোলেট এবং ফলিক অ্যাসিড উভয় নামই এসেছে ল্যাটিন শব্দ ফোলিয়াম থেকে যার অর্থ পাতা। সবুজ পাতা সমৃদ্ধ শাক-সবজি ফলিক অ্যাসিডের বড় উৎস।ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আরো পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান কস্তুরি গোল্ড কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর কাজ কি

  • ফলিক এসিড মূলত এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। একে ভিটামিন ই-৯ বলা হয়। গর্ভবতী নারীদের গর্ভের সন্তানের সুস্থতার জন্য ফলিক এসিড অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে গবেষকরা বলছেন, শুধু গর্ভবতী নারীদেরই নয়, গর্ভধারণের আগে থেকেই এটি নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত।ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
  • ফলিক এসিড ডিএনএ গঠন বা সিন্থেসাইজেশন, কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি ক্রমাগত কোষ বিভাজন এবং কোষের বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ন, তাই গর্ভাবস্থায় এবং নবজাতকদের জন্য ফলিক এসিড জরুরী।
  • লোহিত রক্তকণিকা তৈরীর কাজে এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে ফলিক এসিড শিশু ও পূর্ণ বয়স্ক উভয়েরই প্রয়োজন।ফলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বলে চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের মতো শরীরে মজুদ থাকার সুযোগ নেই। ফলে খাদ্যের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। ফলিক এসিডকে ফোলেট নামেও অভিহিত করা হয়।
  • সবুজ পাতাজাতীয় শাকসবজি, টক ফল ও ডাল জাতীয় খাবারে ফলিক এসিড প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে।তবে ফলিক এসিড যে সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। প্রাকৃতিক খাদ্যবস্তু গ্রহণের মাধ্যমে এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
  • গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন ই-৬ ও ই-১২ এর অভাবে শরীরে হোমোসিসটিন নামক এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ মজুদ হতে থাকে। মানবদেহে হোমোসিসটিনের আধিক্য হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
  • রক্তনালির নমনীয়তা কমায়, যার ফলে রক্ত প্রবাহের বিঘ্ন ঘটার মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমা হওয়াকে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়। রক্তে হোমোসিসটিনের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বৃদ্ধির যোগসূত্র বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণের মাধ্যমেহোমোসিসটিনের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
  • মাতৃগর্ভে মায়ের শরীরে ফলিক এসিডের ঘাটতি থাকলে শিশুর স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্ক গঠনে বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি যেসব মা অতিরিক্ত ফলিক এসিড গ্রহণ করছেন তাদের গর্ভজাত শিশুদের মধ্যে স্নায়ুতন্ত্রের ও মস্তিষ্কের এসব ত্রুটি শতকরা ৬০ ভাগ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
  • আর এ কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন ফলিক এসিড শুধু গর্ভবতী নারীদেরই নয়, গর্ভধারণের আগে থেকেই এটি খাদ্যতালিকায় সংযোজন করা উচিত।
  • সবুজ পাতা সমৃদ্ধ খাবার যেমন- পুঁইশাক, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, পেঁপে, লেবু, ব্রকলি, মটরশুঁটি, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, গাজর ইত্যাদি।
  • আম, জাম, লিচু, কমলা, আঙ্গুর, স্ট্রবেরী ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ডাল যেমন- মসুর, মুগ, মাষকালাই, বুটের ডাল ইত্যাদিতে ফলিক এসিড প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। এছাড়াও রয়েছে সরিষা, তিল, তিসি, সূর্যমুখীর বীজ, লাল চাল, লাল আট ইত্যাদি। গর্ভবতী নারীদের কিংবা গর্ভধারণের আগে থেকেই এসব খাবার খাওয়া উচিত 

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর নাম

বর্তমান বাজারে ফলিক এসিড পাওয়া যায় এরকম অনেক ট্যাবলেট রয়েছে। তারমধ্যে ফলিসন ট্যাবলেট অন্যতম। এটি জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির দ্বারা তৈরি।

সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করলেই হবু মাকে ফলিক অ্যাসিড খাওয়ানো শুরু করে দেওয়া উচিত। এতে সন্তাতের শারীরিক ত্রুটির আশঙ্কা কমবে।কোভিড কালে অন্যান্য অনেক কিছুর সঙ্গে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর আগে হবু বাবা-মায়েদের কিছু পরিকল্পনা করে নেওয়া দরকার। নইলে সন্তানের নানা জন্মগত প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা থাকে।

আরও পড়ুন:  সানি লিওনের এক্সপ্রেস ভিডিও

আরও পড়ুন:  রিয়েলমি 7i বাংলাদেশ প্রাইস,Realme 7i Price in Bangladesh

আরও পড়ুন: চেহারা সুন্দর করার দোয়া

আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া টু বাংলাদেশ বিমান ভাড়া কত

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে সন্তান গর্ভে আসার মাস তিনেক আগে থেকে ফলিক অ্যাসিড খাওয়া শুরু করলে জন্মের সময় শারীরিক ত্রুটির ঝুঁকি অনেক কমে যায়। প্রি প্রেগনেন্সি কাউন্সেলিং করিয়ে দেখে নিতে হবে হবু বাবা মায়ের কোনও রকম শারীরিক অসুবিধা আছে কি না।

থাকলে তার চিকিৎসার পর তবেই সন্তানের পরিকল্পনা করা উচিত বলে মনে করেন অভিনিবেশ। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার সময় থেকেই হবু মায়ের নিয়ম করে ফলিক অ্যাসিড যুক্ত খাবার ও ফলিক অ্যাসিড ওষুধ খাওয়া জরুরি।

গর্ভাবস্থার আগে থেকে দৈনিক ৬০০ মিলিগ্রাম ফলিক অ্যাসিড খেলে শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট নামে এক মারাত্মক জন্মগত সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে । ভিটামিন বি_৯ কোষ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। গর্ভস্থ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্যে রোজকার খাবারে এই ভিটামিনটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

মুসুর ডাল, কড়াইশুঁটি ও মটর, সয়াবিনে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড আছে। এদের মধ্যে সব থেকে বেশি রয়েছে মুসুর ডালে। ১ কাপ (প্রায় ২০০ গ্রাম) মুসুর ডালে প্রায় ৩৫৮ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট থাকে। পুরো সিদ্ধ করা মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ২২ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: কাশির ঔষধ ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ.

আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট ১০ টি ভালো ঔষধ

পালং শাক, সরষে শাক, নটে শাক, কলমি শাক, ছোলা শাকের মত সবুজ শাকে ভিটামিন বি_৯ থাকে। রোজকার ডায়েটে একটি শাক থাকা দরকার। বিট ফলিক অ্যাসিডের আর এক অন্যতম উৎস। ১৩০ গ্রাম বিট থেকে ১৩৮ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট পাওয়া যায়। বিটের রস খেলে হবু মায়েদের ফলিক অ্যাসিডের জোগানের পাশাপাশি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবার ও ভিটামিন খাওয়া উচিত।

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত

বর্তমান বাজারে ফলিক এসিড পাওয়া যায় এরকম অনেক ট্যাবলেট রয়েছে। তারমধ্যে ফলিসন ট্যাবলেট অন্যতম। এটি জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির দ্বারা তৈরি।এই ওষুধটির দাম (500`S )=১৭০ টাকা

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

সন্তান নিতে চান বা মাত্র গর্ভধারণ করেছেন—এমন নারীদের চিকিৎসকেরা প্রায়ই ফলিক অ্যাসিড বা ফলেট ভিটামিন খেতে দেন। ফলিক অ্যাসিড হলো এক ধরনের ভিটামিন বি, যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জু গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

গবেষণা বলছে, সন্তান ধারণের শুরুতেই প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে অনাগত শিশুর জন্মগত ত্রুটির আশঙ্কা অনেকখানি কমে। বেশির ভাগ জন্মগত ত্রুটি গর্ভধারণের প্রথম তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয়।

তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনার শুরুতেই নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ শুরু করে দেওয়া ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের নির্দেশনা হলো, সন্তান নেওয়ার অন্তত এক মাস আগে থেকে প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড বড়ি খাওয়া শুরু করে দেওয়া উচিত।

প্রথম তিন মাস পর্যন্ত এটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। ফলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে: গাঢ় সবুজ রঙের পাতাওলা সবজি যেমন পালংশাক, মূলাশাক, সরিষাশাক; ব্রকলি, গাজর, মটরশুঁটি, বীজজাতীয় সবজি, ফলের মধ্যে পেঁপে, কমলা, আঙুর, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।

ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেলে কি হয়

  • ফলিক এসিড হূদরোগ, বিষণ্নতা ও ডাইমেনসিয়া প্রতিরোধ করে, গর্ভজাত সন্তানের অঙ্গহানি রোধ করে। ফলিক এসিড এক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। যাকে ভিটামিন ই-৯ বলা হয়। ফলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বলে চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের মতো শরীরে মজুদ থাকার সুযোগ নেই।
  • ফলে খাদ্যের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। ফলিক এসিডকে ফোলেট নামেও অভিহিত করা হয়। সবুজ পাতাজাতীয় শাকসবজি, টক ফল ও ডাল জাতীয় খাবারে ফলিক এসিড প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। উন্নত বিশ্বে আটা, ময়দা, চাল জাতীয় খাবারের সঙ্গে কৃত্রিমভাবে ফলিক এসিড সংমিশ্রণ করে সরবরাহ করা হয়।
  • আমরা প্রাকৃতিক খাদ্যবস্তু গ্রহণের মাধ্যমে এবং প্রয়োজন মোতাবেক ওষুধ হিসেবে ফলিক এসিড গ্রহণ করতে পারি। আমরা জানি হূদরোগ ও স্ট্রোকের প্রাদুর্ভাব আমাদের দেশে অনেক বেশি, যা কর্মক্ষম ব্যক্তিদের শারীরিক অসমর্থতা ও মৃত্যুর জন্য প্রধানত দায়ী। এ ধরনের মৃত্যুর প্রভাব পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সুদূরপ্রসারী।
  • বিপুল সংখ্যক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন ই-৬ ও ই-১২ এর অভাবে শরীরে হোমোসিসটিন নামক এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ মজুদ হতে থাকে। মানবদেহে হোমোসিসটিনের আধিক্য হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
  • রক্তনালির নমনীয়তা কমায়, যার ফলে রক্ত প্রবাহের বিঘ্ন ঘটার মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমা হওয়াকে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়। রক্তে হোমোসিসটিনের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বৃদ্ধির যোগসূত্র বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণের মাধ্যমে হোমোসিসটিনের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং পরিমিত মাত্রায় ফলিক এসিড গ্রহণের মাধ্যমে রক্তে হোমোসিসটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এসব প্রবণতা বৃদ্ধিকে রোহিত করা যায়, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা

ফলিক এসিড গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খাবারে ফলিক অ্যাসিড খুব জরুরী বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য বা যারা বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করছেন এটি যেমন মেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে তেমনি গর্ভাবস্থায় পূর্ণতা দিতে সাহায্য করে থাকে বিভিন্ন রকমের খাবার

যেমন ব্রোকলিঃ পালংশাক বরবটি কলাই ডাল ইত্যাদি ফলিক এসিডের উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই উপরোক্ত সময়ে এগুলো সবজি বেশি বেশি খান। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় মায়ের যত্নে সবসময় ধরনের সবজি পাওয়া নাও যেতে পারে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে পারেন।

ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর অপকারিতা

ফলিক এসিড ট্যাবলেট আরো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি অতি মাত্রায় সেবন করবেন না ।

  • মাথা ব্যাথা ,
  • শরীরের ঝিমুনি আসা,
  • বমি বমি ভাব

অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফলিক এসিড ট্যাবলেট খান।

আমাদের আর্টিকেল বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে তা নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে অথবা আমাদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে পারেন আমাদের আর্টিকেল রাইটিং টিম আপনার অভিযোগ বা পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে