কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ

কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ কবিরাজি হলো প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা একটি ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছড়া, ফল-মূল, ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করে রোগের চিকিৎসা করা হয়। কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু জনপ্রিয় গাছ-গাছড়ার মধ্যে রয়েছে: আরো পড়ুন: ছেলেদের মেয়েদের কন -ডম গুপ্ত –  স্থান মেয়েদের পু -শি  কিনতে – এখনই কিনুন

কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ

• আমলকী: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, সর্দি-কাশি, আমাশয়, ডায়রিয়া, জ্বর, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
• বহেড়া: বহেড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, রক্তশূন্যতা, হজমজনিত সমস্যা ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
• আলতা: আলতায় অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের নানা সমস্যা, যেমন- ফুসকুড়ি, চুলকানি, ঘা, পোড়া ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
• আদা: আদা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
• রসুন: রসুন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্যান্য গাছ-গাছড়ার মধ্যে রয়েছে:

• হলুদ
• নিম
• কালমেঘ
• শতমূলী
• শিমুল
• হরিদ্রা
• পটল
• কচু

কবিরাজি চিকিৎসার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে রোগের চিকিৎসা করতে সাহায্য করে। এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম। তবে, কবিরাজি চিকিৎসার আগে একজন অভিজ্ঞ কবিরাজের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কবিরাজি চিকিৎসার কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এটি সব রোগের চিকিৎসা করতে পারে না। এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসায় কার্যকর নয়। এছাড়াও, কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু গাছ-গাছড়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।