Description
শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন । শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ, শ্যাম্পু চুলের ময়লা ও ধুলো পরিষ্কার করলেও, এটি চুলের প্রাকৃতিক তেলও দূর করে দিতে পারে। ফলে চুল শুষ্ক, রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।
শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন
চুলের যত্ন নেওয়ার কিছু টিপস:
১. চুল মসৃণভাবে ধুয়ে ফেলুন:
- শ্যাম্পু করার সময় চুলের গোড়ায় আঙ্গুলের ডগা দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
- খুব বেশি জোরে ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া নষ্ট হতে পারে।
- শ্যাম্পু ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন যাতে কোনও অবশিষ্টাংশ চুলে না থাকে।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
২. কন্ডিশনার ব্যবহার করুন:
- প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় না লাগিয়ে শুধু চুলের ডগায় লাগান।
- কয়েক মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. চুল ভেজা অবস্থায় চিরুনি না:
- ভেজা চুল খুবই নাজুক হয়। তাই ভেজা অবস্থায় চুল চিরুনি না।
- চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর চওড়া দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান।
৪. চুল শুকানোর সঠিক পদ্ধতি:
- চুল তোয়ালে দিয়ে ঘষাঘষি করে শুকাবেন না। এতে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।
- তোয়ালে দিয়ে চুলের অতিরিক্ত জল শুষে নিন।
- চুল খোলা রেখে শুকাতে দিন।
- ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। ব্লো ড্রায়ারের গরম বাতাস চুলের ক্ষতি করতে পারে।
৫. নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন:
- সপ্তাহে অন্তত দুবার চুলে তেল ব্যবহার করুন। তেল চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- নারকেল তেল, জলপাই তেল, বাদাম তেল, অ্যারণ্ডা তেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলে তেল লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন।
- কয়েক ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৬. সূর্যের আলো থেকে চুল রক্ষা করুন:
- বাইরে বের হওয়ার সময় টুপি বা স্কার্ফ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন।
- সূর্যের আলো চুল শুষ্ক ও রুক্ষ করে তুলতে পারে।
৭. স্বাস্থ্যকর খাবার খান:
- স্বাস্থ্যকর খাবার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খান।
৮. নিয়মিত চুল কাটুন:
- নিয়মিত চুল কাটলে চুলের আগা ফেটা রোধ করা যায়।
- প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুল কাটুন।
৯. চুলের উপর রাসায়নিক ব্যবহার কমিয়ে দিন:
- চুলের উপর রাসায়নিক ব্যবহার চুলের ক্ষতি করতে পারে।
- হেয়ার কালার, স্ট্রেটনিং, পারমিং ইত্যাদি চুলের উপর নিয়মিত ব্যবহার না করাই ভালো।
চুলের যত্নে কি কি খাওয়া উচিত
চুলের যত্নে খাদ্যাভ্যাস:
প্রোটিন:
- চুল মূলত কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি। তাই চুলের ভালো বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
- উদাহরণ:
- প্রাণিজ প্রোটিন: ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, দই
- উদ্ভিজ্জ প্রোটিন: ডাল, বাদাম, বীজ, সয়া
ভিটামিন:
- ভিটামিন এ, ই, সি, এবং বি ভিটামিন চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন এ: গাজর, শাকসবজি, ডিম, দুধ ইত্যাদি।
- ভিটামিন ই: বাদাম, বীজ, শাকসবজি, সূর্যমুখী তেল ইত্যাদি।
- ভিটামিন সি: লেবু, কমলা, আঙ্গুর, ব্রকলি ইত্যাদি।
- ভিটামিন বি: মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি।
খনিজ:
- আয়রন, জিংক, এবং সেলেনিয়াম চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ।
- আয়রন: লাল মাংস, শাকসবজি, ডাল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি।
- জিংক: ঝিনুক, মাংস, ডাল, বাদাম, বীজ ইত্যাদি।
- সেলেনিয়াম: মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, বীজ ইত্যাদি।
পানি:
- চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি।
- প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
অন্যান্য:
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান।
- চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন।
কিছু খাবার যা চুলের জন্য ভালো:
- প্রোটিন সমৃদ্ধ: ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম, বীজ
- ভিটামিন এ সমৃদ্ধ: গাজর, পালং শাক, শাকসবজি, ডিম, দুধ
- ভিটামিন ই সমৃদ্ধ: বাদাম, বীজ, শাকসবজি, সূর্যমুখী তেল
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ: লেবু, কমলা, আঙ্গুর, ব্রকলি
- ভিটামিন বি সমৃদ্ধ: মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, বাদাম, বীজ
- আয়রন সমৃদ্ধ: লাল মাংস, শাকসবজি, ডাল, বাদাম, বীজ
- জিংক সমৃদ্ধ: ঝিনুক, মাংস, ডাল, বাদাম, বীজ
- সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ: মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, বীজ
- পানি: প্রচুর পরিমাণে পানি
কিছু খাবার যা চুলের জন্য খারাপ:
- চিনি
- প্রক্রিয়াজাত খাবার
- ফাস্ট ফুড
- অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার
- ক্যাফেইন
- অ্যালকোহল
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, এবং তেল ব্যবহার করা উচিত।
আরও তথ্যের জন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
Reviews
There are no reviews yet.