Description
কিডনি রোগ কি ভাল হয় । কিডনি রোগ দুই ধরণের:
কিডনি রোগ কি ভাল হয়
১) আকস্মিক কিডনি সমস্যা:
- কিডনিতে হঠাৎ করে সমস্যা দেখা দিলে তাকে আকস্মিক কিডনি সমস্যা বলে।
- বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে, যেমন:
- ডিহাইড্রেশন
- সংক্রমণ
- কিডনিতে পাথর
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- এই সমস্যা দ্রুত চিকিৎসা না করলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে পরিণত হতে পারে।
- চিকিৎসার ধরণ নির্ভর করে কারণের উপর।
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, ডিহাইড্রেশন ও সংক্রমণের চিকিৎসা করলে কিডনি আবার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করে।
মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
২) দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ:
- কিডনি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বলে।
- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে প্রদাহ, কিডনিতে পাথর, দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খাওয়া, অটোইমিউন রোগ ইত্যাদি কারণে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হতে পারে।
- এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়।
- তবে, রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
- রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য:
- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে।
- রোগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হতে পারে।
- কিডনি বিকল হলে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়।
কিডনি রোগের লক্ষণ:
- প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন
- পায়ে ফোলা
- ক্লান্তি
- দুর্বলতা
- বমি বমি ভাব
- ক্ষুধামান্দ্য
- ঘুমের সমস্যা
- প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
- রাতে বারবার প্রস্রাব হওয়া
কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায়:
- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- ধূমপান ত্যাগ করা
- অ্যালকোহল পান কমানো
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করা
রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য:
- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা:
- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের প্রধান দুটি কারণ।
- তাই এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা:
- নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:
- কিডনি রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- তাদের প্রোটিন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করা:
- কিডনি রোগীদের নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
- ডাক্তার রোগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার পরিবর্তন করবেন।
কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে, রোগীরা দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।
অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন:
- এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য।
- আপনার যদি কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ থাকে, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।
পড়ুনঃ লুব্রিকেন্ট জেল কিনতে এখনই ক্লিক করুন
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ওষুধ
ক্রিয়েটিনিন হলো রক্তে একটি বর্জ্য পণ্য যা পেশী ভেঙে যাওয়ার ফলে তৈরি হয়। কিডনির কাজ হলো রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন সরিয়ে ফেলা, তাই যদি আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করে তবে আপনার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়তে পারে।
কোনও ওষুধ নেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমাতে, তবে আপনার কিডনিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং আপনার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়া থেকে বিরত রাখতে আপনি এমন ওষুধ নিতে পারেন। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমাতে ব্যবহৃত কিছু ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
-
ACE ইনহিবিটর এবং এআরবি: এই ওষুধগুলি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা কিডনিকে ক্ষতি করতে পারে।
-
মূত্রবর্ধক: এই ওষুধগুলি আপনার শরীরকে অতিরিক্ত তরল এবং সোডিয়াম পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে, যা কিডনির উপর চাপ কমাতে পারে।
-
বিটা-ব্লকার: এই ওষুধগুলি আপনার হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা কিডনিকে ক্ষতি করতে পারে।
আপনার যদি উচ্চ ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে তবে আপনার জন্য কোন ওষুধটি সঠিক তা নির্ধারণ করতে আপনার ডাক্তারের সাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনার কিডনির কার্যকারিতা এবং আপনার অন্যান্য চিকিৎসা শর্তের উপর ভিত্তি করে একটি ওষুধ বা ওষুধের সংমিশ্রণ নির্ধারণ করবে।
ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমাতে আপনি কিছু জীবনধারা পরিবর্তনও করতে পারেন, যেমন:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া: একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার কিডনিকে রক্ষা করতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার পেশী ভর বজায় রাখতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা: পর্যাপ্ত পানি পান করা আপনার কিডনিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
- ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান আপনার কিডনিকে ক্ষতি করতে পারে, তাই ধূমপান ত্যাগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার যদি উচ্চ ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত চেক-আপ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে এবং আপনার চিকিত্সার পরিকল্পনা সমন্বয় করতে সক্ষম হবে।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.