Description
কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট । এখানে কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত কিছু সাধারণ পরীক্ষার নাম রয়েছে:
কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট
রক্ত পরীক্ষা
-
ক্রিয়েটিনিন: এটি একটি রক্ত পরীক্ষা যা আপনার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পরিমাপ করে। ক্রিয়েটিনিন হল পেশী দ্বারা উৎপাদিত একটি বর্জ্য পণ্য।
-
আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না তবে আপনার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
-
ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন (বিইউএন): এটি একটি রক্ত পরীক্ষা যা আপনার রক্তে ইউরিয়ার মাত্রা পরিমাপ করে। ইউরিয়া হল প্রোটিন ভাঙার একটি বর্জ্য পণ্য। আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না তবে আপনার রক্তে বিইউএন-এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
-
ইজিএফআর: এটি একটি অনুমান যা আপনার কিডনি কতটা ভাল ফিল্টার করছে তা পরিমাপ করে রক্ত। আপনার ইজিএফআর কম হলে তা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।
-
গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন হার (GFR): এটি কিডনির বর্জ্য পণ্য ফিল্টার করার ক্ষমতার পরিমাপ। কম GFR কিডনির ক্ষতির লক্ষণ।
-
ইলেক্ট্রোলাইটস: কিডনি রক্তে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যেমন সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা কিডনির ক্ষতির লক্ষণ হতে পারে।
প্রস্রাব পরীক্ষা
- প্রস্রাবের অ্যালবুমিন: এটি একটি প্রস্রাব পরীক্ষা যা আপনার প্রস্রাবে অ্যালবুমিনের মাত্রা পরিমাপ করে। অ্যালবুমিন হল এক ধরনের প্রোটিন যা আপনার রক্তে থাকা উচিত। আপনার প্রস্রাবে অ্যালবুমিনের মাত্রা বেশি হলে তা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে।
- মাইক্রোঅ্যালবুমিন: এটি একটি প্রস্রাব পরীক্ষা যা আপনার প্রস্রাবে মাইক্রোঅ্যালবুমিনের পরিমাণ পরিমাপ করে। মাইক্রোঅ্যালবুমিন হল অ্যালবুমিনের একটি ছোট প্রকার যা আপনার প্রস্রাবে থাকা উচিত নয়। আপনার প্রস্রাবে মাইক্রোঅ্যালবুমিনের মাত্রা বেশি হলে তা কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
- প্রস্রাবের ক্রিয়েটিনিন: এটি একটি প্রস্রাব পরীক্ষা যা আপনার প্রস্রাবে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পরিমাপ করে। আপনার কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না তবে আপনার প্রস্রাবে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
- প্রস্রাবের ডিপস্টিক: এটি একটি পরীক্ষা যা প্রস্রাবে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে পারে, যেমন প্রোটিন, গ্লুকোজ এবং রক্ত।
অন্যান্য পরীক্ষা
- আল্ট্রাসাউন্ড: এটি কিডনির ছবি তৈরি করতে সাউন্ড ওয়েভ ব্যবহার করে। কিডনির আকার, আকৃতি এবং অবস্থান মূল্যায়ন করতে আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।
- কম্পিউটেড টমোগ্রাফি (CT) স্ক্যান: এটি এক্স-রে ব্যবহার করে কিডনির বিশদিত ছবি তৈরি করে। CT স্ক্যান কিডনির আকার
লুব্রিকেন্ট জেল কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আপনার কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কিডনি পরীক্ষা করা যেতে পারে। কিছু সাধারণ কিডনি পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে:
কিডনি রোগের নতুন চিকিৎসা
কিডনি রোগের চিকিৎসায় বেশ কিছু নতুন অগ্রগতি হয়েছে, যা রোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং তাদের দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে।
কিছু উল্লেখযোগ্য নতুন চিকিৎসা হল:
১) কৃত্রিম কিডনি (Artificial Kidney):
এটি একটি যন্ত্র যা রক্ত থেকে বর্জ্য পণ্য এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে। এটি দুটি প্রধান ধরণের:
- হেমোডায়ালাইসিস: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের ডায়ালাইসিস। এটিতে রক্ত শরীর থেকে বের করে কৃত্রিম কিডনি দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং তারপর শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
- পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস: এটিতে পেটের গহ্বরে তরল প্রবেশ করানো হয় এবং কিছুক্ষণ পরে বের করে ফেলা হয়। তরলটি রক্ত থেকে বর্জ্য পণ্য এবং অতিরিক্ত তরল শোষণ করে।
২) ক্ষুদ্রতম ছিদ্রযুক্ত ডায়ালাইসিস (Minimally Invasive Dialysis):
এটি একটি নতুন ধরনের ডায়ালাইসিস যা ঐতিহ্যবাহী ডায়ালাইসিসের চেয়ে কম বেদনাদায়ক এবং
৩) জিন থেরাপি (Gene Therapy):
এই থেরাপি জিনগত ত্রুটি সংশোধন করে কিডনি রোগের মূল কারণ দূর করার চেষ্টা করে। এটি এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে,
তবে কিডনি রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
৪) স্টেম সেল থেরাপি (Stem Cell Therapy):
এই থেরাপি ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি কোষের মেরামত বা প্রতিস্থাপন করতে স্টেম সেল ব্যবহার করে। এটিও এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে,
তবে ভবিষ্যতে কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫) ঔষধ:
কিডনি রোগের চিকিৎসায় নতুন ঔষধ আবিষ্কার করা হচ্ছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, এবং কিডনি রোগের অগ্রগতি ধীর করতে সাহায্য করে।
৬) কিডনি প্রতিস্থাপন (Kidney Transplantation):
এটি কিডনি রোগের চূড়ান্ত চিকিৎসা।
**এছাড়াও, কিডনি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য নতুন
**কিছু গুরুত্বপূর্ণ
•নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
ধূমপান ত্যাগ করুন।
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন।
• প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
• নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করুন।
Reviews
There are no reviews yet.