Description
কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে । কিডনি রোগী খেজুর খেতে পারবে কিনা তা নির্ভর করে তার কিডনির কার্যকারিতা এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রার উপর।
কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে
যদি কিডনির কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে, তাহলে খেজুর খাওয়া নিরাপদ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে যেমন ফাইবার, ভিটামিন B, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এগুলো কিডনির জন্য উপকারী।
পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন
কখন খেজুর খাওয়া নিরাপদ:
- যদি কিডনির কার্যকারিতা ভালো থাকে (eGFR ≥ 60) এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক (3.5 – 5.0 mEq/L) থাকে, তাহলে খেজুর খাওয়া নিরাপদ।
- এক্ষেত্রে, দিনে 1-2 টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
- খেজুর শরীরে ফাইবার, ভিটামিন B, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে যা কিডনির জন্য উপকারী।
তবে, যদি কিডনির কার্যকারিতা কমে যায় এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে খেজুর খাওয়া উচিত নয়। কারণ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। উচ্চ পটাশিয়াম কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কখন খেজুর খাওয়া উচিত নয়:
- যদি কিডনির কার্যকারিতা কমে যায় (eGFR < 60) এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় (5.0 mEq/L এর বেশি), তাহলে খেজুর খাওয়া উচিত নয়।
- কারণ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে (100 গ্রাম খেজুরে 488 মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে)।
- উচ্চ পটাশিয়াম কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- এক্ষেত্রে, খেজুরের বিকল্প ফল খাওয়া যেতে পারে।
রোগীদের খেজুর খাওয়ার আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:
- কিডনির কার্যকারিতা: আপনার কিডনির কার্যকারিতা কেমন তা জানতে রক্ত পরীক্ষা করান।
- রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা: আপনার রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কেমন তা জানতে রক্ত পরীক্ষা করান।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ: আপনার ডাক্তার আপনাকে কতটা খেজুর খাওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে পারবেন।
কিডনি রোগীদের জন্য খেজুরের বিকল্প:
- ফাইবার সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল: আপেল, নাশপাতি, বেরি, পেঁপে ইত্যাদি।
- ভিটামিন B সমৃদ্ধ খাবার: মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম ইত্যাদি।
- পটাশিয়াম কম সমৃদ্ধ খাবার: সবুজ শাকসবজি, শস্য, বাদাম ইত্যাদি।
কিডনি রোগীদের জন্য খাদ্যতালিকা তৈরি করার সময় একজন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
উদাহরণস্বরূপ:
- যদি আপনার কিডনির কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে, তাহলে আপনি সকালের নাস্তায় 1-2 টি খেজুর দিয়ে দুধ খেতে পারেন।
- অথবা, বিকেলের নাস্তায় খেজুর ও বাদাম খেতে পারেন।
- তবে, যদি আপনার কিডনির কার্যকারিতা কমে যায় এবং রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে খেজুরের পরিবর্তে আপেল, নাশপাতি, বেরি, পেঁপে ইত্যাদি ফল খেতে পারেন।
মনে রাখবেন, কিডনি রোগীদের জন্য খাদ্যতালিকা তৈরি করার সময় একজন ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
উল্লেখ্য,
- উপরে দেওয়া তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য।
- আপনার কিডনির অবস্থা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আপনার খাদ্যতালিকায় কোন পরিবর্তন করবেন না।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.