Description
কিডনি রোগের খাবার । রোগীদের জন্য খাদ্য এমন একটি খাদ্য যা কিডনিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। এতে প্রোটিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম সীমাবদ্ধ থাকে। কিডনি রোগের খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করতে পারে। , স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস।
কিডনি রোগের খাবার
রোগের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের কিছু উদাহরণ অন্তর্ভুক্ত:
-
ফল: আপেল, কলা, বেরি, আঙ্গুর এবং নাশপাতি। প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন এবং খনিজ। এগুলি ফসফরাস এবং পটাসিয়ামেও কম।
-
শাকসবজি: আর্টিচোক, ব্রোকলি, গাজর, সেলারি, এবং চীনা বাঁধাকপি সবই ভালো উত্স। প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন এবং খনিজ। এগুলি ফসফরাস এবং পটাসিয়ামেও কম। স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ। এগুলি প্রোটিন, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামেও কম। এগুলি প্রোটিন, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামেও কম। পানি এবং ফাইবার। এটি সোডিয়ামেও কম।
- শস্য: ওটমিল, বাদামী চাল, Quinoa, ভুট্টা, রুটি (সাদা/গম)।
- প্রোটিন: মাছ (রুই, কাতলা, মৃগেল), মুরগির মাংস (ত্বক ছাড়া), ডিম (সাদা অংশ), ডাল (মুগ, মসুর, ছোলা), বাদাম (কাজু, পেস্তা, কাঠবাদাম), বীজ (চিয়া, তিসি)।
- দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ (লো-ফ্যাট/স্কিমড), দই (লো-ফ্যাট), পনির (লো-ফ্যাট)।
- চর্বি: জলপাই তেল, ক্যানোলা তেল, অ্যাভোকাডো, বাদাম।
- পানীয়: পানি (প্রচুর পরিমাণে), ভেষজ চা, লেবু পানি।
খাদ্যের পরিমাণ:
- প্রোটিন: প্রতিদিন প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম।
- ফসফরাস: প্রতিদিন ৮০০-১০০০ মিলিগ্রাম।
- পটাসিয়াম: প্রতিদিন ২০০০-২৫০০ মিলিগ্রাম।
- সোডিয়াম: প্রতিদিন ২৩০০ মিলিগ্রাম।
খাদ্য তৈরির টিপস:
- খাবার ভালোভাবে রান্না করুন।
- লবণ ব্যবহার কমিয়ে দিন।
- ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
- তেল ও চর্বি কম ব্যবহার করুন।
- বেশি পানি পান করুন।
- নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।
উদাহরণ খাদ্য তালিকা:
প্রাতরাশ: ওটমিল, দুধ, ফল। দুপুরের খাবার: ভাত, মাছ, সবজি, ডাল। রাতের খাবার: রুটি, মুরগির মাংস, সবজি, দই। নাস্তা: ফল, বাদাম, বীজ।
বিঃদ্রঃ: এই খাদ্য তালিকা শুধুমাত্র একটি উদাহরণ। আপনার জন্য উপযুক্ত খাদ্য তালিকা তৈরি করতে আপনার ডাক্তার বা নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বলুন।
কিডনি রোগীদের এড়ানো উচিত এমন কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- লাল মাংস: গরুর মাংস, শুকরের মাংস এবং ভেড়ার মাংস প্রোটিনে উচ্চ, যা কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রায়শই সোডিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামে বেশি থাকে।
- ফাস্ট ফুড: ফাস্ট ফুড প্রায়শই চর্বি, সোডিয়াম এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বিতে বেশি থাকে।
- মিষ্টি পানীয়: সোডা, জুস এবং স্পোর্টস ড্রিঙ্কগুলি প্রায়শই সোডিয়াম এবং চিনিতে বেশি থাকে।
আপনার যদি কিডনি রোগ থাকে তবে আপনার জন্য সঠিক খাদ্য সম্পর্কে আপনার ডাক্তার বা নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে যা আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করে।
কিডনি সমস্যার সমাধান
সমস্যার সমাধান নির্ভর করে সমস্যার ধরণ, তীব্রতা এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর।
কিডনি সমস্যার কিছু সাধারণ সমাধান:
প্রতিরোধ:
- স্বাস্থ্যকর জীবনধারা:
- নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
- স্বাস্থ্যকর খাবার:
- প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, এবং গোটা শস্য খান।
- লবণ, চিনি, এবং অসম্পৃক্ত চর্বি কম খান।
- প্রোটিন, ফাইবার, এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।
- ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
- মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
- উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ এবং জীবনধারার পরিবর্তন ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
- ডায়াবেটিস কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
- রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ এবং জীবনধারার পরিবর্তন ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্থূলতা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- ওষুধের সঠিক ব্যবহার: কিছু ওষুধ কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
চিকিৎসা:
-
ওষুধ:
- কিডনি সমস্যার ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এবং কিডনি রোগের অন্যান্য লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডায়ালাইসিস:
- যখন কিডনি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন ডায়ালাইসিস রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি অপসারণ করতে ব্যবহার করা হয়।
- দুটি ধরণের ডায়ালাইসিস রয়েছে:
- হেমোডায়ালাইসিস: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের ডায়ালাইসিস। এটি একটি মেশিন ব্যবহার করে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি অপসারণ করে।
- পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস: এই ধরণের ডায়ালাইসিসে, পেটের গহ্বরে তরল প্রবেশ করানো হয় এবং তারপর বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি শোষণ করার জন্য অপসারণ করা হয়।
- কিডনি প্রতিস্থাপন: যখন কিডনি ব্যর্থ হয়, তখন একটি স্বাস্থ্যকর কিডনি প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।
মনে রাখবেন:
- কিডনি সমস্যা একটি গুরুতর অসুস্থতা।
- কিডনি সমস্যার প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ।
- কিডনি সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু দরকারী টিপস:
- লবণ কম খান: লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
- পানি পান করুন: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা কিডনিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
- ফল এবং শাকসবজি খান: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা কিডনির জন্য ভালো।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে, যা কিডনির জন্য ভালো।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
আপনার যদি কিডনি সমস্যা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন
আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন
Reviews
There are no reviews yet.