কিডনি রোগী কি মাছ খেতে পারবে

কোন ধরণের মাছ খাওয়া যাবে:

• কম ফসফরাসযুক্ত মাছ: রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, টুনা, বাইলা, পুঁটি, ইলিশ, চিংড়ি, গরম পানির চিংড়ি, কাঁকড়া
• ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ: রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, টুনা, বাইলা, পুঁটি, ইলিশ

পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

কোন ধরণের মাছ খাওয়া যাবে না:

• বেশি ফসফরাসযুক্ত মাছ: শুঁটকি, রুপচাঁদা, কই, বোয়াল, কাচকি, চিংড়ি মাছের মাথা, পোনা
• বেশি সোডিয়ামযুক্ত মাছ: শুঁটকি, প্রক্রিয়াজাত মাছ (যেমন, ব্রেডেড মাছ, মাছের আঙ্গুল)

মাছ খাওয়ার পরিমাণ:

• আপনার কিডনির কার্যকারিতা কতটুকু ভালো তার উপর নির্ভর করে মাছের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।
• কিডনির কার্যকারিতা ভালো (GFR > 60): সপ্তাহে 3-4 বার, প্রতিবার 100-150 গ্রাম মাছ খাওয়া যেতে পারে।
• কিডনির কার্যকারিতা মাঝারি (GFR 30-60): সপ্তাহে 2-3 বার, প্রতিবার 100-150 গ্রাম মাছ খাওয়া যেতে পারে।
• কিডনির কার্যকারিতা খারাপ (GFR < 30): সপ্তাহে 1-2 বার, প্রতিবার 50-100 গ্রাম মাছ খাওয়া যেতে পারে।
• আপনার ডাক্তার বা পুষ্টিবিদ আপনাকে সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারবেন।

মাছ রান্না করার টিপস:

• মাছ ভাজে খাওয়া উচিত নয়।
• মাছ রান্নার সময় লবণ কম ব্যবহার করুন।
• মাছের ঝোল ফেলে দিন।
• মাছ রান্নার জন্য স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করুন, যেমন: জলপাই তেল, সয়াবিন তেল, ক্যানোলা তেল।
• মাছ রান্নার সময় মশলা কম ব্যবহার করুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

• মাছ খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
• নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করুন এবং আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
• আপনার যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাহলে আপনার কিডনির উপর চাপ কমাতে এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
• কিডনি রোগীদের জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিস করা গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনি রোগীদের জন্য কিছু মাছের রেসিপি:

• রুই মাছের ভাপা
• কাতলা মাছের ঝোল (ঝোল ফেলে দিয়ে খেতে হবে)
• তেলাপিয়া মাছের তরকারি
• মৃগেল মাছের কাবাব
• ইলিশ মাছের ভুনা (মাঝারি পরিমাণে)
• রুপচাঁদা মাছের ঝোল (ঝোল ফেলে দিয়ে খেতে হবে)

আরও তথ্যের জন্য:

পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ দ্রুত চিকন হওয়ার ওষুধ DETOXI SLIM কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম/ আ দিয়ে মেয়েদের  ইসলামিক নাম

মনে রাখবেন, এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ নির্দেশিকা। আপনার জন্য কোন খাবারটি উপযুক্ত তা জানতে আপনার ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করুন।