পহেলা বৈশাখ রচনা । পহেলা বৈশাখ নিয়ে বক্তব্য

ভূমিকা:

বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন হলো পহেলা বৈশাখ। প্রকৃতির নবজাগরণের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলার নববর্ষ উদযাপন করা হয় এই দিনে। নতুন বছরের আগমনী বার্তা বয়ে আনে আশার নতুন সূচনা, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের বন্ধন।

 মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে এখনই ক্লিক করুন

উৎসবের ইতিহাস:

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহ্য বহুদিনের। প্রাচীনকাল থেকেই কৃষিভিত্তিক সমাজে নতুন ফসল কাটার আনন্দে এই দিনটি উদযাপিত হতো। মোগল আমলে বঙ্গাব্দ সন প্রবর্তনের পর থেকে নববর্ষ উদযাপন আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

উৎসবের বৈশিষ্ট্য:

১. মঙ্গল শোভাযাত্রা:

নববর্ষের প্রথম আলো ফুটতেই শুরু হয় রমনা পার্কে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রঙের পোশাক, নকশা এবং গান বাজনার মাধ্যমে নববর্ষের আনন্দ উদ্‌যাপন করে।

২. পান্তা-ইলিশ:

পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ হলো পান্তা-ইলিশ। নববর্ষের দিনটিতে বাঙালির ঘরে ঘরে এই খাবার পরিবেশন করা হয়।

৩. বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান:

নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গান, কবিতা, নাচ, আবৃত্তি, বাউল গান, নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়, মেলা ইত্যাদি নববর্ষের আনন্দকে আরও বর্ণাঢ্য করে তোলে।

৪. আরও কিছু উদাহরণ:

• নববর্ষের দিনে বাঙালিরা নতুন জামাকাপড় পরে, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করে, এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
• ઘણા মানুষ নববর্ষের দিনে নতুন ব্যবসা শুরু করে বা নতুন ঘরে প্রবেশ করে।
• ঢাকার রমনা পার্ক, সোনারগাঁও, ফ্যান্টাসি কিংডম, এবং বাহাদুর শাহ পার্কের মতো স্থানগুলোতে নববর্ষের দিনে বিশেষ আকর্ষণ থাকে।

উপসংহার:

পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এই দিনটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মন্ত্র। নতুন বছরের শুরুতে নতুন সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায় পহেলা বৈশাখ।

নববর্ষের শুভেচ্ছা!

শুভ সকাল,

আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। নতুন বছরের এই দিনটি আমাদের জীবনে নতুন সূচনার প্রতীক। আজকের দিনে আমরা অতীতের ভুলত্রুটি ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করার প্রত্যয় গ্রহণ করি।

পহেলা বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই দিনটি আমাদের সকলের মধ্যে ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকল মানুষ আজকের দিনটি একসাথে উদযাপন করে।

আজকের দিনটি আমাদের জীবনে নতুন আশা ও প্রত্যাশার সঞ্চার করে। আমরা নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন দেখি, নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করি। আমরা চাই এই নতুন বছর আমাদের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে আনুক।

ঐতিহাসিক দিক:

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ। বাংলা সনের প্রথম দিন হিসেবে এটি প্রায় হাজার বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে। বৈশাখ মাসের প্রথম দিনকে ‘নববর্ষ’ হিসেবে পালনের রীতি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে।

আজকের দিনটি আমাদের সকলের জন্য শুভ হোক।

এই দিনটিতে আমরা বিভিন্ন রীতিনীতি পালন করে থাকি:

• নববর্ষ বরণ: আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন জামাকাপড় পরিধান করি, ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করি এবং নববর্ষকে বরণ করি।
• পান্তা ভাত: এদিন সকালে আমরা পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, লুচি, ও অন্যান্য সুস্বাদু খাবার খাই।
• নববর্ষের শুভেচ্ছা: আমরা একে অপরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
• সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: দেশের বিভিন্ন স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উৎসবের তাৎপর্য:

• নতুন সূচনা: নতুন বছরের সূচনা, অতীতের ভুলত্রুটি ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করার প্রত্যয়।
• সৌহার্দ্য ও ঐক্য: ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ঐক্য ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করে।
• সংস্কৃতির প্রকাশ: বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

উদাহরণ:

• রমনা পার্ক: ঢাকার রমনা পার্ক নববর্ষের দিন সকালে মানুষের সমাগমে পরিপূর্ণ থাকে।
• মঙ্গল শোভাযাত্রা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ।
• নববর্ষের গান: নববর্ষের আনন্দে বিভিন্ন গান বাজনা হয়।

বিবরণ:

• পান্তা ভাত: পান্তা ভাত বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নববর্ষের দিন পান্তা ভাত খাওয়ার রীতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
• মঙ্গল শোভাযাত্রা: রং-বেরঙের পোশাক পরিহিত শিল্পীদের মিছিল নববর্ষের আনন্দকে আরও বর্ধিত করে।

নববর্ষের এই দিনটিতে আমাদের উচিত:

• অতীতের ভুলত্রুটি ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করা।
• সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মী হওয়া।
• দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করা।

আমি আশা করি, এই নতুন বছর আমাদের জন্য সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে আনবে।

ধন্যবাদ।

পড়ুনঃ লুব্রিকেন্ট জেল কিনতে এখনই ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃম্যাজিক কনডম কিনতে এখনই ক্লিক করুন