বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

বাংলাদেশের কথা বললেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামটি চলে আসে। প্রায়ই বিভিন্ন পরীক্ষায়, অ্যাসাইনমেন্টে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা লিখতে হয়। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তাই তাঁকে নিয়ে গবেষণা ও চর্চা হবে যুগ যুগ ধরে।

আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর  ইন্ডিয়ান ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ইন্ডিয়ান গুড হেলথ কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

আমরা অনেকেই তাঁর জীবনী সঠিকভাবে জানি না। তাই বিভিন্ন পরীক্ষায় কিংবা অ্যাসাইনমেন্টে তাঁকে নিয়ে লিখতে বলা হলে অনেকেই পর্যাপ্ত তথ্যবহুল রচনা লিখতে পারেন না। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য উপস্থাপন করছি “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা” শিরোনামের প্রবন্ধটি। আশা করি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনারা এই প্রবন্ধ থেকে অনেক তথ্যবহুল ঘটনা ও ইতিহাস জানতে পারবেন।

অনলাইনে ছেলেদের ও মেয়েদের যাবতীয় পার্সোনাল ও গোপনীয় পণ্যসামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী দেশের সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট Www.gazivai.com.

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

ভূমিকাঃ

বাংলাদেশ’ নামটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরাধীনতার শেকল থেকে এ দেশকে, এ জাতিকে মুক্ত করতে যিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু না হলে হয়তো আজকের এ বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। আমরা পেতাম না স্বাধীন বাংলার মুক্ত বাতাস, পেতাম না একটি স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিটি ধাপে অগ্রণী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা

জন্ম পরিচয়:

শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ (৩ রা চৈত্র ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ ‍লুৎফুর রহমান, মাতা সায়েরা খাতুন। শেখ মুজিব, তাঁর পিত-মাতার তৃতীয় সন্তান।

শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রাখেন তাঁর নানা শেখ আবদুল মজিদ। ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম ছিলো ‘খোকা’। ছোটবেলা থেকেই তিনি সাধারণ মানুষ ও গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সহমর্মী স্বভাব দেখাতেন।

শিক্ষা জীবন

১৯২৭ সালে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তখন তাঁর বয়স ছিলো ৭ বছর। তিনি গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯২৯ সালে ৯ বছর বয়সে তিনি গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। পিতার সরকারি চাকরিতে বদলিজনিত কারণে তিনি আবারো স্কুল পরিবর্তন করেন। ১৯৩১ সালে মাদারীপুর ইসলামিয়া স্কুলে তিনি ৪র্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এই স্কুলেই তিনি ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।

১৯৩৪ সালে বেরিবেরি নামক এক জটিল রোগে আক্রান্ত হন বঙ্গবন্ধু। এতে করে তাঁর হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায়। তাঁর চোখেও জটিল রোগ ধরা পড়ে ১৯৩৬ সালে। অপারেশনের মাধ্যমে এ রোগ সারাতেও বেশ কিছু সময় লেগে যায়। তাই বেশ কয়েক বছর তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন নি।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন

১৯৪৪ সালে তিনি বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু ১৯৪৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এ সময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন। ফলে সে বছরই প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধু। বিভিন্ন ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধুকে “সোহরাওয়ার্দীর ছত্রতলে রাজনীতির উদীয়মান বরপুত্র” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু:

১৯৪৮ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে বঙ্গবন্ধু তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। একই বছর মার্চের ২ তারিখ বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫২ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে অনশন করেন বঙ্গবন্ধু।

মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু

১৯৭১ সালের ১ লা মার্চ হোটেল পূর্বানীতে আ. লীগের সংসদীল সদস্যদের অধিবেশন চলাকাকালে আকস্মিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষনা করেন। সারা বাংলা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিক্ষুদ্ধ জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজপথ। বঙ্গবন্ধু এটাকে শাসকদের আরেকটি চক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন। তিনি ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহবান করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক যুগান্তকারী ভাষনে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” বঙ্গবন্ধুর এই ভাষনে ষ্পষ্ট হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যত। সারাদেশে শুরু হয় এক অভূতপূর্ব অসযোগ আন্দোলন।

উপসংহার

এদেশের তরে, মানুষের তরে নিজের পুরো জীবনটাই সমর্পণ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে নিজের জীবনের একটা বড় অংশ তিনি কাটিয়েছেন কারাগারে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ চিরকাল এক ও অভিন্ন হয়েই থাকবে। এদেশের শিশু-যুবক-বৃদ্ধ সবাই গর্বভরে লিখে যাবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ রচনা। কবি যথার্থই বলেছেন-

যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা বহমান,

ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।।

আরো পড়ুনঃ  লম্বা হওয়ার ঔষধ কিনতে ক্লিক- এখনই কিনুন

আর পড়ুনঃ পাছা বা নিতম্বের মেদ কমানোর ঔষধ কিনতে  – এখনই কিনুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *