গত একশ বছরে নিকৃষ্ট সরকার প্রধান একজন সরকার প্রধান রাষ্ট্রপ্রধান নিঃসন্দেহে সারা পৃথিবীব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন আবার এই সরকারপ্রধানদের মধ্যে অনেকেই তাদের কর্ম করে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ স্থান লাভ করে থাকেন আবার অনেকেই তাদের কর্মগুণে সবচেয়ে নিম্ন স্থান লাভ করে থাকেন।
এমন একজন সরকার প্রধান তার কর্মগুণে পৃথিবীর সবচেয়ে আদর্শ সরকারপ্রধান হয়ে থাকেন আবার একজন সরকারপ্রধান তার কর্মের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকারপ্রধান হয়ে থাকেন আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকারপ্রধান অর্থাৎ 100 বছরের সরকারপ্রধান সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।
আমাদের এই তথ্যটি সংগ্রহীত তত্ত্বটি পক্ষে বা বিপক্ষে তেমন কোনো তথ্য বা রেফারেন্স আমরা সংগ্রহ করতে পারেনি আমরা শুধুমাত্র সংগৃহীত তত্ত্বটি উপস্থাপন করেছে তা তথ্যটি সম্পর্কে আপনার প্রশ্নটা জিজ্ঞাসা অবশ্যই মন্তব্য জানিয়ে দিন ।
আরও পড়ুন: ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় ছবি সহ
আরও পড়ুন: চেহারা সুন্দর করার দোয়া
গত একশ বছরে নিকৃষ্ট সরকার প্রধান
স্যামুয়েল দৌ (SAMUEL DOE: 1080-1990) LIBERIA
কয়েকজন সিপাহী সহ মিলিটারি ক্যু এর মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম টলবার্টকে হত্যা করে ক্ষমতা গ্রহণ করে। আমেরিকা তার অভ্যুথ্যানকে সমর্থন করে এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনার মতো একই কায়দায় দেশবাসীর মধ্য আতঙ্ক তৈরী এবং ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে।স্যামুয়েল দৌ আর্মির মাস্টার সার্জেন্ট ছিলেন বিধায় তিনি সেনাবাহিনীর পদস্থ অফিসারদের পছন্দ করতেন না।
ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথে তিনি শেখ হাসিনা পিলখানা হত্যাকণ্ডের মতোই সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে পদস্থ কর্মকর্তাদের হত্যা করা শুরু করেন। দেশের ব্যাংকগুলো অর্থশূন্য হয়ে পরে এবং দেশের বিচারপতিদেরকে আদালতের ভিতরেই বন্দুকের নলের দ্বারা সিধান্ত নিতে বাধ্য করতেন। কথিত রয়েছে যে স্যামুয়েল দৌ আমেরিকাকে অবাধ হস্তক্ষেপের সুবিধা দিয়ে নিজেকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা তার হয়নি।দেশের বিক্ষুব্দ জনতা তাকে নির্মমভাবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: লম্বা হওয়ার দোয়া, যে দোয়ার মাধ্যমে লম্বা হওয়া যায়
আরও পড়ুন: দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি
৩. রাফায়েল ত্রুহিয়ো (RAFAEL TRUJILLO: 1930-1961) – DOMINICAN REPUBLIC
রাফায়েল ত্রুহিয়ো ১৯৩০ সাল থেকে মে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ডোমিনিকান রিপাবলিক নামক দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।ডোমিনিকান রিপাবলিকের ইতিহাসে রাফায়েল ত্রুহিয়োর শাসনামলকে বলা হয় এক রক্তাক্ত অধ্যায়। ত্রুহিয়োর শাসনামলে হাজার হাজার মানুষকে অপহরণ করা হয় যাদের কোনো হদিস আজও মিলেনি।
বিরোধী দলীয় নেতা, কর্মী এবং অনুসারীদেরকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষদেরকে হত্যা করা হয়।ত্রুহিয়ো পার্শবর্তী দেশ হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।পরে সে নিজ দেশে হাজার হাজার ডোমিনিকাণদেরকে হাইতির প্রেসিডেন্ট এর সমর্থক আখ্যা দেয় এবং তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে।প্রেসিডেন্ট ত্রুহিয়ো দেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ব্যাটানকোর্টকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও পরবর্তীতে ব্যাটানকোর্টকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হাজতে প্রেরণ করে ঠিক যেমনি শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলার দ্বারা বেগম খালেদা জিয়াকে হাজতে প্রেরণ করেছে।
পরকীয়া প্রেমে বাধা হওয়ার কারণে ত্রুহিয়ো নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে তাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় ঠিক যেভাবে শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের শাশুড়িকে হত্যা করার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেয়েদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের নাম
আরও পড়ুন: ছেলেদের কাম শক্তি বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ
নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে দেশের স্বার্থ্য উপেক্ষা করে আমেরিকানদেরকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঠিক যেমনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থ্য উপেক্ষা করে ভারতকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রদান করে। ৩০ মে ১৯৬১ সালের বিকেল বেলায় বান্ধবীর সাথে দেখা করতে যাওয়ার পথে তাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে অবসান হয় তার ৩১ বছরের দুঃশাসন।
৪.জোসেফ এস্ত্রাদা (JOSEPH ESTRADA: 1998-200) PHILIPPINE
এস্ত্রাদা ছিলেন একজন অভিনেতা পরবর্তীতে যিনি রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন। প্রথমে মেয়র পরে সিনেটর এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট ফিডল রামোসের অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। । ফিলিপাইনের অনেকেই জানতো যে ফার্ডিনান্ড মার্কোসের পর এস্ত্রাদাই আমেরিকানদের প্রিয়পাত্র। দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশে আমেরিকা এবং সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রাথী হন এবং ২000 সালে নির্বাচনে জয়ী হন।
দেশের সবাই জানতো যে আমেরিকা এস্ত্রাদার নির্বাচনের জন্য করেনি এমন কোনো কাজ নেই ঠিক যেভাবে ইন্ডিয়া শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করার জন্য সবকিছুই করেছে। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই আমেরিকাকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে তিনি জঙ্গী দমনের কথা বলে হাজার হাজার নিরীহ মুসলিমদেরকে দিনে দুপুরে হত্যা করে। হাজার হাজার মুসলিম যুবক নিখোঁজ হয়ে যায় যাদের হদিস আজ অবধি মেলেনি। তিনি “মরো” ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের বিরুদ্ধে “সর্বাত্মক যুদ্ধ” ঘোষণা করেন এবং সেই যুদ্ধেও হাজার হাজার নিরীহ মানুষ, নারী ও শিশু নিহত হয়।
তিনি তার লোকজনদেরকে দিয়ে নিখোঁজ এবং মৃত মুসলিমদের ঘরবাড়ী দখল করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। তিনি বিরোধী দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের কারারুদ্ধ করেন, যারা তাঁর নীতির বিরোধিতা করে। দিন দিন, তিনি ক্রমবর্ধমান দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান অথচ দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম। পরবর্তীতে বেকারত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্নীতির কারণে জোসেফ এস্ত্রেদা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৭ সালে সরকার কর্তৃক ৮0 মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করার জন্য এস্ত্রাদাকে আটক রাখা হয়। প্রেসিডেন্ট অ্যারোইয়ো তাকে ক্ষমা করে দেন এবং ২০১০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হলে দেশের জনগণ বিশাল ভোটের ব্যবধানে তাকে প্রত্যাখ্যান করে।
৫. নেগুয়েন কাও কী (NGUYEN CAO KY: 1965-1967) SOUTH VIETNAM
১৯৬৫ সালে, আমেরিকা ভিয়েতনামে তাদের কর্তৃত্ব বাড়াতে দক্ষিণ ভিয়েতনামের নেগুয়েন কাও কী’কে মিত্র হিসেবে বেছে নেয়। তিনি দক্ষিণ ভিয়েতনাম এয়ার ফোর্সের মেজর জেনারেল ছিলেন। তিনি এতটাই উচ্চাভিলাষী ছিলেন যে ক্ষমতার লোভে নিজ জাতিকে ত্যাগ করে দখলদার বাহিনীকে সহায়তা প্রদানে রাজী হয়েছিলেন। ।তিনি ভিয়েতনামীদেরকে হত্যা করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করে আমেরিকানদের সাহায্য করেছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি আমেরিকানদেরকে ভিয়েতনামী প্রাকৃতিক সম্পদ স্বল্পমূল্যে এবং বিনামূল্যে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। তার শাসনামলে নাগরিকদের বক্তব্যের স্বাধীনতা ছিল না। তিনি অস্ত্রের দ্বারা প্রেস নিয়ন্ত্রণ করতেন। দক্ষিণ ভিয়েতনামীদেরকে জোড় করে আমেরিকানদের জন্য কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন।হাজার হাজার ভিয়েতনামীরা তার শাসনামলে মৃত্যুবরণ করে।
তিনি একদা বলেছিলেন, “যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে যে কে আমার নায়ক, আমি তার উত্তরে বলবো “হিটলার হিটলার।” কিন্তু এক সময়ে, আমেরিকানরা জেনারেল নেভিন ভ্যান থিয়েটারকে নেগুয়েন কাও কী’র বিকল্প হিসেবে বেছে নেয়। আমেরিকানরা নেগুয়েন কাও কীকে নেভিন ভ্যান থিয়েটারের অধীনে কাজ করার জন্য বাধ্য করে। আমেরিকানরা তাকে বীরত্ব ও অন্যান্য সম্মান দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি খুব তাড়াতাড়িই আমেরিকার বোঝা হয়ে যান।
উত্তর ভিয়েতনাম দক্ষিণ ভিয়েতনামকে পরাজিত করার পর, নেগুয়েন কাও কী’র ভিয়েতনামে থাকা অসম্ভব ছিল। নেগুয়েন কাও কী’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০ এপ্রিল, ১৯৭৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্টমিনস্টারে বসতি স্থাপন করে। তিনি ৩০ জুলাই ২0১১ সালে মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান। দেশে ফেরার ভাগ্য তার আর হয়ে উঠেনি !
আরও পড়ুন: মেয়েদের দু-ধ বড় করার ঔষধের নাম ও দাম
আরও পড়ুন: লিং-গ মোটা করার ঔষধের নাম ও দাম