1. admin@janbobd.net : admin :
  2. gazivai.gom@gmail.com : HASAN :
  3. juwelranabdnet2@gmail.com : juwel juwelrana : juwel juwelrana
  4. sugazivai.com@gmail.com : sikdar md : sikder md
শবে কদরের দোয়া - janbobd
March 29, 2023, 12:23 am

শবে কদরের দোয়া

  • Update Time : Thursday, April 28, 2022
শবে কদরের দোয়া
শবে কদরের দোয়া

শবে কদরের দোয়া । প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে জানাবো শবে কদরের দোয়া সম্পর্কে। এছাড়াও এই আর্টিকেলটিতে জানতে পারবেন শবে কদরের নামাজের নিয়ম ? শবে কদরের ফজিলত ? শবে কদরের আমল ?

শবে কদর শবে কদরের নামাজের নিয়ম শবে কদরের নামাজের নিয়ত ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্যপেতে হলে নিচের সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন এছাড়াও যেকোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কম দামে পণ্য কিনতে ভিজিট করুন https://www.gazivai.com গাজী ভাই ডট কম

শবে কদরের নামাজের নিয়ত

রমজান মাস হলো বরকতময় মাস। এই রমজান মাসের মধ্যে একটি রাতকে আল্লাহ সুবহানাল্লাহি ওয়া তায়ালা মহামান্বিত রাত এবং অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ রাত করেছেন যা আমরা শবে কদরের রাত বলে জানি। শবে কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। শেষ দশকের পরতেক বেজোড় রাত হতে পারে কুরআনে ঘোষিত লাইলাতুল কদর তবে আমরা সাধারণত 26 রমজান দিবাগত রাতে লাইলাতুল কদর পালন করে থাকি।

লাইলাতুল কদর অর্থ কি

লাইলাতুল কদর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহামান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী।
আরবি ভাষায় লাইলাতুর শব্দের অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং কদর শব্দের অর্থ হলো সম্মান-মর্যাদা মহাসম্মান এছাড়াও অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ, নির্ধারণ করা।

লাইলাতুল কদর অর্থ কি

লাইলাতুল কদর এর জন্য একটা দুআ রয়েছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়াটি লাইলাতুলকদর এর রাতে বেশি বেশি পড়তে বলেছেন।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা যদি আমি জানতে পারি, তাহলে আমি কোন দোয়াটি পড়বো?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-

শবে কদরের ফজিলত

আরো পড়ুনঃ ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার 4k হোয়াইটেনিং ক্রিম এখনই কিনুন

শবে কদরের দোয়া

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে বেশি বেশি এ দোয়া পড়ার।

এছাড়াও আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমা পেতে কুরআনুল কারীমে তিনি বান্দার জন্য অনেক দোয়া তুলে ধরেছেন। যেগুলো নামাজের সেজদা তাশাহুদ সহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগিতে পড়া যেতে পারে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো-

  • رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

বাংলা উচ্চারণঃ- রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমীন।
অর্থঃ- হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন আপনি তো সর্বশেষ্ঠ রহমকারী( সূরা মুমিনুন আয়াত নং – ১১৮)

  1. رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

বাংলা উচ্চারণঃ- ‘রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত নং – ১০৯)

  1. رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

বাংলা উচ্চারণঃ-‘রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ক্বিনা আজাবান নার।

অর্থ : হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং তুমি আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা কর।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত নং – ১৬)

  1. رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

বাংলা উচ্চারণঃ-রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবো।’ (সুরা আরাফ : আয়াত নং – ২৩)

  1. رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

  2. বাংলা উচ্চারণঃ-‘রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’

অর্থ : ‘(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা কাসাস : আয়াত নং – ১৬)

  1. رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ

বাংলা উচ্চারণঃ- ‘রাব্বানাগফিরলি ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন তুমি আমাকে, আমার বাবা-মাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা কর।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত নং – ৪১)

  1. سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ

বাংলা উচ্চারণঃ-‘সামিনা ওয়া আত্বানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছির।’

অর্থ : ‘আমরা (আপনার বিধান) শুনলাম এবং মেনে নিলাম। হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমা করুন। আপনার দিকেই তো (আমাদের) ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা আল-বাকারাহ : আয়াত নং – ২৮৫)

  1. رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا

বাংলা উচ্চারণঃ-ওয়াফু আন্না ওয়াগফিরলানা ওয়ারহামনা আংতা মাওলানা ফাংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের রব! যে বোঝা বহন করার সাধ্য আমাদের নেই, সে বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ো না। আমাদের পাপ মোচন করুন। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু।’ (সুরা বাকারাহ : আয়াত ২৮৬)

  1. رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ

বাংলা উচ্চারণঃ-‘রাব্বানাগফিরলানা ওয়ালি ইখওয়ানিনাল্লাজিনা সাবাকুনা বিল ঈমানি।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের ক্ষমা করুন এবং যারা আমাদের আগে যারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকেও ক্ষমা করুন।’ (সুরা হাশর : আয়াত নং – ১০)

  1. رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِيْ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ

বাংলা উচ্চারণঃ– ‘রাব্বানাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফি আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্বদামানা ওয়াংছুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কাজের মধ্যে যেখানে তোমার সীমালঙ্ঘন হয়েছে, তা মাফ করে দিন। আমাদের কদমকে অবিচল রাখুন এবং অবিশ্বাসীদের মোকাবেলায় আমাদের সাহায্য করুন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৪৭)

  1. رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ

বাংলা উচ্চারণঃ- ‘রাব্বানা ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মাআল আবরার।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! সুতরাং আমাদের গোনাহগুলো ক্ষম করুন। আমাদের ভুলগুলো দূর করে দিন এবং সৎকর্মশীল লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করুন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত নং – ১৯৩)

শবে কদরের রাত সম্পর্কে হাদীস শরীফে রয়েছে অসংখ্য বর্ণনা শবে কদরের রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নিকট সর্বপ্রথম কোরআন নাজিল হয় এবং যার কারনে এই রাতকে আরো বেশী তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহামান্বিত করে তুলেছে। এই রাতে জিব্রাইল (আঃ) ও ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতরণ করে ইবাদতরত সকল মানুষের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ হাবিবা নামের অর্থ কি

আরও পড়ুনঃ কুলসুম নামের অর্থ কি

হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে শবে কদরের রাতে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম ফেরেশতাদের বিরাট এক অংশ নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী পুরুষ নামাজ রত অবস্থায় অথবা জিকিরে মশগুল থাকে তাদের জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকেন( মাজহারী)

শবে কদরের নামাজের নিয়ত


নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আলা রাকা’-আত আই সালা-তিল লাইলাতুল কদর- নাফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারিফাতি আল্লা-হু আকবর
অর্থঃ- আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ এর উদ্দেশ্যে শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম – আল্লাহু আকবার

আরও পড়ুনঃ রোমানিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

আরও পড়ুনঃ রাশিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা


প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত সিজদায় গিয়ে তসবি পড়া কিংবা শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ও দুরুদ পড়ার পর নিজের গলা থেকে মুক্তির জন্য কোরআনে বর্ণিত সমস্ত দোয়া গুলো বেশি বেশি পড়া।

এই পোস্ট টি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ফেসবুকে

More News Of This Category
© All rights reserved - janbobd.net
Customized By BlogTheme
x
error: Content is protected !!